স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা
কাপাসিয়া (গাজীপুর)সংবাদদাতা : তুচ্ছ ঘটনায় সিঙ্গাপুর প্রবাসী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহীন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে এলাকার একদল উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়নন্দা গ্রামে। শাহীন ওই গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র। সে গত দু’বছর সিঙ্গাপুরে চাকুরী করে ১৫ দিন আগে ছুটিতে দেশে আসে। তার স্ত্রী ও দু’কন্যা সানজিদা (১১) ও সাবরিন (৭) রয়েছে। এদিকে গুরুতর আহত শাহীনের মৃত্যুর খবর শনিবার সকালে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি হত্যাকারীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার রায়নন্দা গ্রামের দরগাপাড়া মসজিদের উন্নয়নের জন্য কমিটির লোকজন এলাকার আশপাশের বাড়ি থেকে বাঁশ সংগ্রহ করার জন্য যায়। এক পর্যায়ে দক্ষিনপাড়া সমজিদ সংলগ্ন জামালের বাঁশ ঝাড় থেকে একটি বাঁশ কেটে আনার সময় মরহুম হাফিজ উদ্দিন মাষ্টারের লেবু বাগানের একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে যায়। এ সময় হাফিজ উদ্দিনের পুত্ররা এসে প্রতিবাদ করে। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে উপস্থিত মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ চাঁন মিয়া (৫৫) কে তারা মারপিট করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষের খবরটি শাহীন মোবাইল ফোনে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ইতোমধ্যে বখাটে সন্ত্রাসী মসজিদ সংলগ্ন হাফিজ উদ্দিনের পুত্র আকতার (২৮), রুহুল (২৩) ও মাহবুল (২০), রতন মিয়ার পুত্র মোবারক হোসেন (২২) ও মোফাজ্জল হোসেন (২০), মৃত দুলালের পুত্র আলম (৩০) ও রতন (৪৫), হালিমের পুত্র রিংকু (২০) দা, লোহার রড, লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং এ সময় শাহীনকে পেয়েই সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এলোপাথারী দায়ের কোপে শাহীন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাকে বাচাঁতে এলাকাবাসি এগিয়ে এলে তারাও হামলার শিকার হয়। এক পর্যায়ে হামলা কারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত শাহীনকে মূমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে উত্তরার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় আহতরা হলো- চাঁন মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০), কন্যা আফসানা (২৮), পুত্র আরিফ (৩০), প্রতিবেশী ফরিদা (৩০), বেলায়েত (২৫), ইয়াসিন (৩০), ইব্রাহীম (৩৫), আনোয়ার (২২)। তাদের গাজীপুর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ ঘটনার সত্যতা স্বীকার এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন।