বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কিরকুকে হামলার দায় স্বীকার আইএসের

২১ অক্টোবর, আলজাজিরা : ইরাকের তেলসমৃদ্ধ শহর কিরকুকের বেশ কয়েকটি ভবন ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস। অনলাইনে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইএস দায় স্বীকার করে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় কিরকুক শহরে কারফিউ জারি করেছে সরকার। ইরাকি বাহিনী যখন পুনরুদ্ধারের জন্য আইএস নিয়ন্ত্রিত শহর মসুলের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে তখনই কিরকুকে এ হামলা চালানো হলো। নিজস্ব প্রতিনিধির বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আইএস সদস্যদেরকে এখনও কিরকুকের রাস্তায় হাঁটাচলা করতে দেখা যাচ্ছে।
নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার সকালে কিরকুকের বেশ কয়েকটি ভবন ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য নিহত হন। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা দুই ইরানি নাগরিককেও হত্যা করে জঙ্গিরা। পরে বেশ কয়েকটি ভবন থেকে জঙ্গিদের হটিয়ে দেয় ইরাকি বাহিনী। ইরাকি বাহিনীর গুলীতে কিংবা আত্মঘাতী হামলা চালাতে গিয়ে অন্তত আট জঙ্গি নিহত হয়। এখনও একটি হোটেল ও একটি মসজিদ থেকে আইএসকে হটাতে গোলাগুলী চলছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বৃহস্পতিবার দিনগত রাত একটা থেকেই গোলাগুলীর শব্দ শুনছেন।
আল জাজিরার প্রতিনিধি জানান, ‘তারা (আইএস) পুলীশ ভবনগুলোর দিকে অগ্রসর হতে হতে হামলা চালাতে থাকে। এগুলোর একটি পুরনো পুলিশ ভবন এবং একটি সরকারি ভবন। আইএস সদস্যদেরকে এখনও কিরকুকের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যাচ্ছে।’ রয়টার্স জানায়, এক অনলাইন বিবৃতিতে আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কিরকুকে কারফিউ জারি করেছে। পরিশোধিত তেল উৎপাদন কেন্দ্রগুলো হামলার শিকার হয়নি এবং শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইরাক ও সিরিয়ার বাইরের আইএস-এর এখন বড় ঘাঁটি সিরতে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবিকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, সিরতেতে বৃহস্পতিবারের অভিযানে অন্তত ২০ আইএস সদস্য নিহত হয়েছে।
ইরাকের তেলসমৃদ্ধ শহর কিরকুকের বেশ কয়েকটিভবন ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্যসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বাকি দুইজন ইরানি নাগরিক। আর আত্মঘাতী হামলাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলীতে নিহত হওয়া জঙ্গি মিলিয়ে নিহত হামলাকারীর সংখ্যা আট। অর্থাৎ ওই ঘটনায় অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরইমধ্যে শহরটিতে কারফিউ জারি করেছে সরকার।এখনও একটি হোটেল ও একটি মসজিদ জঙ্গিদের দখলে রয়েছে। এরইমধ্যে আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইরাকি বাহিনী যখন পুনরুদ্ধারের জন্য আইএস নিয়ন্ত্রিত শহর মসুলের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে তখনই কিরকুকে এ হামলা চালানো হলো।
উল্লেখ্য, আইএস-এর আধিপত্যে কিরকুক থেকে ইরাকি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ২০১৪ সালে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় কুর্দি পেশমারগা বাহিনী। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহযোগিতা নিয়ে ইরাকি বাহিনী ও কুর্দিরা মসুল শহর পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু করার চারদিনের মাথায় কিরকুকে এ হামলা হলো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ