শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নবাবগঞ্জে ২৩ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে ২৩ জন নারী-পুরুষ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে এক সমাবেশে অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। উপজেলার ৫নং পুটিমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ২৩ জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী নারী-পুরুষ মাদকের কুফল বুঝতে পেরে ব্যক্তিগত সামাজিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এ উপলক্ষে গত বুধবার ৫নং পুটিমারা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ও ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা মো. সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজার রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মো. আমির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ জিয়াউর রহমান মানিক, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রুহুল আমিন প্রধান, ৯নং কুশদহ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সায়েম সবুজ, ৪নং শালখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল  হক, ৫নং পুটিমারা ইউপির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম, ওই পরিষদের ইউপি সদস্য মো. মাহফুজার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী, ইউপি সদস্যা নূরেছা বেগম, ইউপি সদস্য মো. আনিছুর রহমান (আনাম) প্রমুখ। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার হোসেন জানান, তার ইউনিয়নটি হিলি স্থল বন্দর সংলগ্ন হওয়ায় ভারত থেকে নিষিদ্ধ হেরোইন, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার নেশাজাত সামগ্রী তার ইউনিয়নের বিভিন্ন রুটে পাচার হয়। এর কারণে সহজে মাদক হাতের কাছে পায় ইউনিয়নবাসী। অনেকেই সেবন সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান, নির্বাচনে আসার পূর্বেই জনসাধারণের নিকট মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে মাদকবিরোধী ব্যাপক অভিযান শুরু করেছেন। নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান,  ২৩ জনের মধ্যে ৬ জন নারী ও ১৭ জন পুরুষ রয়েছে। ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান (আনাম) জানান, ব্যবসায়ী ১০ জন ও ১৩ জন মাদকসেবী। এদের মধ্যে ওই ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আব্দুল আলিমও জড়িত রয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেছেন, আজকে যারা মাদকের কুফল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে উদ্যোগ নিয়েছে তাদের স্বাগত জানাই। মাদক বিক্রি ও সেবনের সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে সে যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না। সংশোধন হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হবে।
আর তা না হলে তার বসবাস হবে দিনাজপুর কারাগারে। মাদকের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবেন। আপনাদের দেয়া তথ্য নিয়ে যদি কোন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা আর তথ্য দাতাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করে এমন অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সমাজের মানুষের শান্তি নিরাপত্তা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সমাজের সচেতন মহলসহ মিডিয়া কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ