শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মিরপুর টেস্টে সাব্বিরের খেলা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা টেস্টের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। তবে প্রথম দিনে অনুশীলনে ছিলেন না সাব্বির রহমান। টেস্টের আগের দিন আজ অনুশীলন করবেন তিনি। গতকাল সকালে সাব্বিরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তার। তবে মিরপুর টেস্টে সাব্বিরকে পাওয়া নিয়ে আপাতত শঙ্কা নেই। এমনটাই জানালেন জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান। গতকাল দলের অনুশীলনে ছিলেন না সাব্বির। তাই মিরপুর টেস্টে সাব্বির খেলবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান জানালেন, সাবিবরকে নিয়ে শঙ্কার তেমন কিছু নেই। তিনি বলেন,‘সাব্বিরের সমস্যাটি মূলত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। আমরা  যে রকম ভাবছিলাম,সে রকম গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি।এ্যাপেলো হাসপাতােেল এন্ডোস্কপি করানো হয়েছে। কিছু ধরা পড়েনি। এটা সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথাই। খাদ্যাভ্যাসসহ কিছু ব্যাপারে ডাক্তার ওকে পরামর্শ দিয়েছেন, সেসব মেনে চলতে হবে।’ অনুশীলনে সাব্বিরের না থাকা নিয়ে বায়োজিদ বলেন,‘এন্ডোস্কপি করানো হয়েছে বলেই অনুশীলনে নেই। এমনিতে ব্যথা অনেক কমে গেছে। কালকেই (আজ) সে পুরোপুরি অনুশীলন করতে পারবে বলে আশা করছি।’ জ্বর ও পেটের ব্যথা নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট খেলেছেন সাব্বির রহমান। অসুস্থতা নিয়েই ব্যাট করেছেন দুই ইনিংসে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেছেনও ব্যথাটা সঙ্গী করে। তবে আপাতত ব্যথা কমেছে। পরীক্ষায় গুরুতর কিছু ধরাও পড়েনি। ব্যথা নিয়েই চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বীরোচিত এক ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। এই ব্যথা তাকে ভুগিয়েছে আগেও। চট্টগ্রামে তাকে চিকিৎসক দেখানো হয়েছিল। ঢাকায় ফেরার পর আরেক দফা চিকিৎসকের কাছে নেয়া নয়, নানা পরীক্ষা করা হয়। সাব্বিরের অসুস্থতার কারণেই মূলত মিরপুর টেস্টের স্কোয়াডে কাভার হিসেবে রাখা হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনকে। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের সকালে পেটের ব্যথা নিয়েই মাঠে  নেমেছিলেন সাব্বির রহমান। ওই ম্যাচে ব্যথা কমার ঔষধ খেয়ে নেমেছিলেন তিনি। পেটে ব্যাথা থাকলেও সেদিন দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির। অভিষেক টেস্টেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তিনি অপরাজিত থেকেছেন ৬৪ রানে। তারপরও বুঝতে দেননি পেটের ব্যাথা। বাংলাদেশ ম্যাচ ২২ রানে হেরে যাওয়ার পর হোটেলে ফিরে চট্টগ্রামে বিসিবির নিজস্ব ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। ফিজিও বায়েজিদ বলেন,‘সাব্বির ঢাকায় আসার পর পরই আমরা আবার অ্যাপোলোতে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলি। এন্ডোসকপি টেস্ট করানো হয়েছিল। আমরা যা সন্দেহ করেছিলাম, তেমন কোনও সমস্যা নেই। সাধারণ গ্যাস্টিকের সমস্যা, পেপটিক আলসারের সমস্যা।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ