রায়পুরে শিশুকে যৌন নির্যাতন ১০ হাজার টাকায় ধামাচাপা!
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আট বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারের হাতে ১০হাজার টাকা গুঁজে দিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে সাদা কাগজে শিশুর পরিবারের স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোহনা গ্রামে। এ ঘটনায় আতংকে রয়েছে শিশুটির পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোহনা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে কাজল (১৮) গত বুধবার দুপুরে সুপারী কুড়ানোর কথা বলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বাগানে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার হাতে ১৫ টাকা দেয় কাজল। পরে তাকে মুখে ওড়না পেছিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ছাত্রীর চিৎকারে পাশের বাড়ীর এক মহিলা এগিয়ে আসতে দেখে কাজল পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বিষয়টি ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর সানি সুমনকে জানালে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দিবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। পরে মেম্বারের বাড়িতে তাদের ডেকে ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য দুপক্ষকে সতর্ক করে দেন। এ সময় শিশুর পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। যৌন নির্যাতনের শিকার বলেন, ‘মেম্বারের কাছে আমরা বিচারের জন্য গেলে, তিনি ১০ হাজার টাকা আমাদের দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাদের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছে। আমরা বাধ্য হয়ে এখন চুপচাপ আছি।
ইউপি সদস্য ওমর সানি সুমন বলেন, ঘটনাটি মিমাংসা হয়ে গেছে। মেয়ের পরিবারের এখন কোন অভিযোগ নেই। কত টাকায় মিমাংসা হয়েছে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান পাঠান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।