বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ চলে গেলেও প্রভাবে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার : বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ সীমানা ত্যাগ করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’। তবে কায়ান্টের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আর এটাই এদিন দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এদিন দেশের সকল বিভাগেই ঝিরঝির বা মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, কায়ান্টের প্রভাবে আজ শুক্রবার আরও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ গতকাল সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করেছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসে একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কায়ান্ট’ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কায়ান্টের থেকে প্রচুর মেঘ চারপাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই মেঘের কিছুটা বাংলাদেশেও আসছে। এ কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির সম্ভাবনা কালও (আজ) রয়েছে।
রাজধানীতে সকাল থেকেই বৃষ্টি ঝরেছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো বা ঝিরি ঝিরি। কার্ত্তিকের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। সাত সকালে যাদের ঘরের বাইরে ছুটতে হয়েছে, তারা অনেকেই কাকভেজা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। যানবাহন কম থাকায় স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েন অভিভাবকরা। নগরবাসী অনেকে বলছেন, এই বৃষ্টি শীতের আমেজ দিয়ে যাবে।          
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আরো অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিকাল ৩টায় গভীর নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।    
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলে ৬ মিলিমিটার, ফরিদপুর ৪০, মাদারীপুর ৮, গোপালগঞ্জ ১৩, ময়মনসিংহ ৫, নেত্রকোনা ১৩, কুমিল্লা ১০, সিলেট ৭, রাজশাহী ১৮, বগুড়া ২৪, তাড়াশ ২৬, খুলনা ২৯, মংলা ৬, যশোর ৪০ ও পটুয়াখালীতে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ