শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

লোকবলের অভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না

নেত্রকোনা সংবাদদাতা : প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও লোকবলের অভাবে নেত্রকোনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশের ভবিষ্যৎ যুব সমাজকে রক্ষায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অপারেশন, মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মাদকাসক্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং মাদকাসক্তি নিরাময়ের পর তাদেরকে কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৪ সালে নেত্রকোনা মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হওয়ার পর জেলা সদরে মাদকদ্রব্য সার্কেল অফিস চালু করা হয়। জনবল কাঠামো অনুযায়ী সার্কেল অফিসে ৬টি পদ থাকলেও ২/৩ জনের বেশি লোক কখনোই সেখানে কর্মরত ছিল না। ফলে নেত্রকোনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন অফিস ছিল কি না তা নেত্রকোনাবাসী জানতই না। বর্তমান সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা পর্যায়ের সার্কেল অফিসগুলোকে ২০১৫ সালের নবেম্বর থেকে অধিদপ্তরের নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জেলা কার্যালয়ে রূপান্তরিত করেন। নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জেলায় একজন সহকারী পরিচালক, একজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক, তিন জন সিপাহী, একজন অফিস সহকারী, একজন ওয়্যারলেস অপারেটর, একজন এম এল এস এস, একজন ঝাড়–দার, একজন নৈশ প্রহরী ও একজন গাড়ি চালকের পদ সৃষ্টি করা হয়। নেত্রকোনায় ১৩ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জন কর্মরত রয়েছেন। শূণ্য পদগুলো হচ্ছে একজন সহকারী পরিচালক, একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সিপাহী, একজন অফিস সহকারী, একজন ওয়্যারলেস অপারেটর, একজন এম এল এস এস, একজন ঝাড়ুদার, একজন নৈশ প্রহরী ও একজন গাড়ি চালক। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবু তাহের দেওয়ান বলেন, স্বল্প সংখ্যক লোকবল দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষে কোন ভাবেই মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশী অভিযান চালাচ্ছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিচ্ছি। 

নেত্রকোনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আজাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছি। গত এক বছরে প্রায় একশটি মামলা দায়ের করেছি। প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও লোকবলের অভাবে কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। 

তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনীয় লোকবল, অপরাধ দমনের জন্য উন্নত মানের দ্রুতগামী যানবাহন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, সোর্স মানি ও অপরাধ দমনে অর্থ ব্যয় বৃদ্ধি করা হলে নেত্রকোনায় মাদকদ্রব্যের অপ-ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ