শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ভারতের কারাগারের ৮ বন্দীকে হত্যা পরিকল্পিত অপারেশন : মাওলানা মাহমুদ মাদানী

সংগ্রাম ডেস্ক : ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভূপাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে ৮ ‘সিমি’ সদস্য নিহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মহাসচিব মাওলানা মাহমুদ মাদানী। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, ‘এটি একটি সুপরিকল্পিত অপারেশন ছিল- যাতে শুধু নির্দোষ মৃত্যুই হয়নি বরং আইন এবং মানবাধিকারকেও উপহাস করা হয়েছে।’

নিরপেক্ষ এজেন্সির মাধ্যমে এ ঘটনার তদন্ত করে দোষী পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে কঠোর সাজা দাবি করে মাওলানা মাদানী বলেন, ‘কিছু মানুষ তাদেরকে গুরুতর সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করে ওই ঘটনাকে লঘু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। আমাদের সাংবিধানিক আইনের মূলনীতি অনুসারে যতক্ষণ কোনো ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত না হবে ততক্ষণ তাকে দোষী অভিহিত করা উচিত নয়।’

সূত্র জানায়, মাওলানা মাহমুদ মাদানীর নির্দেশে জমিয়তে উলামা মহারাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিহত ওই যুবকদের মামলায় লড়াই করা হচ্ছিল। কয়েকটি শুনানির পর জমিয়তের আইনজীবীদের কাছে স্পষ্ট হয় যে, সরকার পক্ষের (এটিএস) আইনজীবীদের কাছে তাদের দোষী সাব্যস্ত করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। মাওলানা মাহমুদ মাদানী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তাহলে কী দেশের এজেন্সি তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে নিরীহ যুবকদের ভুয়া এনকাউন্টার করার পথ গ্রহণ করেছে?’

নিষিদ্ধ ঘোষিত স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা ‘সিমি’ সদস্যদের কারাগার থেকে পালানো এবং তাদের হত্যা প্রসঙ্গে মাওলানা মাদানী বলেন, ‘যারা কারাগারে বন্দি অবস্থায় ছিল তাদের হাতে অস্ত্র কীভাবে এল? নিহতদের পরনে নতুন পোশাক, হাতে হাতঘড়ি, জুতো ইত্যাদি তাদেরকে কে দিয়েছিল? এত বড় অপরাধমূলক অপারেশনে পুলিশকর্মীরা মোবাইলে কীভাবে ভিডিও শুটিং করেছিলেন?’

মাওলানা মাদানী বলেন, ‘জমিয়তে উলামা হিন্দ তাদের মামলা লড়ছিল এ জন্য তারা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আদালতের সামনে সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য তুলে ধরবে।’

অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় উলেমা কাউন্সিলের সভাপতি মাওলানা আমীর রাশাদি ওই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিহিত করে বলেন, গুজরাট, হায়দারাবাদ এবং বাটলাতেও এর আগে নিরীহদের হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সময় ডটকম

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ