শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মসুলে গণহত্যা চালাচ্ছে আইএস

১২ নবেম্বর, আলজাজিরা : ইরাকের মসুল নগরীতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) গণহত্যা চালাচ্ছে। সেখানে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ।
গত কয়েকদিনে মসুলে ইরাকি ও কুর্দি হামলা তীব্র হওয়ার পর আইএস সেখানকার বেসামরিক ইরাকীদের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। জাতিসংঘের কর্মীরা মসুলের নিকটবর্তী হাম্মাম আল-আলিল শহরে শতাধিক মানুষের একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মুখপাত্র বিলকিস উইলি বলেন, ‘আমি মসুলে অভিযান শুরুর পর থেকেই ইরবিলে রয়েছি। আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত খবর আসছে, শতশত ইরাকীকে হত্যা করছে আইএস। মসুলে অনাকাক্সিক্ষত গণকবর দেখে আমরা অবাক হইনি। আর এই গণকবরটিও একমাত্র নয়।’ 
গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানিয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠীটি মঙ্গলবার ‘বিশ্বাসঘাতকতা ও ইরাকী বাহিনীকে সহযোগিতার’ অভিযোগে ৪০ জনকে হত্যা করে। কমলা রঙের পোশাক পরিয়ে গুলী করে হত্যা করা হয়। এ সময় তাদের পোশাকের উপর লেখা ছিল ‘বিশ্বাসঘাতক ও ইরাকী সেনাবাহিনীর চর।’
জাতিসংঘ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, আইএস তাদের তথাকথিত আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই বেসামরিক লোকদের হত্যা করে। হত্যার পর তাদের লাশ বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
বুধবার মসুলের উত্তরাঞ্চলে ঘাবাত সামরিক ঘাঁটিতে আরও ২০ জনকে হত্যা করা হয়। মসুলের কেন্দ্রস্থলে কেবল মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণেই একজনকে হত্যা করা হয়। আইএস সেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুনে আইএস জঙ্গিরা মসুল নগরী দখল করে নেয়। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নগরীতে এখনও প্রায় ১৫ লাখ মানুষ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৭ অক্টোবর ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে আনুষ্ঠানিকভাবে মসুল পুনরুদ্ধার অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ইরাকী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি। এরপর ইরাকী সেনা ও পুলিশ বাহিনী, শিয়া মিলিশিয়া এবং কুর্দি বাহিনী যৌথভাবে মসুল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ