শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সাব্বিরের সেঞ্চুরি পিছনে ফেলে জয় পেল বরিশালের বুলস

বরিশাল বুলস : ১৯২/৪, (২০ ওভার)
রাজশাহী কিংস :  ১৮৮/৬, (২০ ওভার)
ফল : বরিশাল বুলস ৪ রানে জয়ী।
স্পোর্টস রিপোর্টার : রাজশাহী কিংসের ভাগ্যটাই খারাপ। না হলে এবারের আসরের প্রথম বিগ স্কোরের ম্যাচে জিততে জিততে ম্যাচটি হারবে কেন। আর যদি হারবেই তবে আরো আগেইতো হারতে পারত। এতো বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জয়ের কাছে গিয়েই হারল মাত্র ৪ রানে। এর উপর সাব্বিরের করা বিপিএলের সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ ১২২ রানের ইনিংসটা দলের কোন কাজেই লাগল না। বিফলে গেল সাব্বিরের সেঞ্চুরি। কারণ দামি সেঞ্চুরিতেও জিততে পারলো না রাজশাহী কিংস। শেষ পর্যন্ত ৪ রানের জয় তুলে নিলো বরিশাল বুলস। বরিশাল বুলসের তৃতীয় ম্যাচে এটা দ্বিতীয় জয়। আর তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় হার রাজশাহীর। তবে দল হারলেও ম্যাচের সেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান সাব্বির রহমানই। গতকাল আগে ব্যাট করে রবিশাল বুলস চার উইকেটে করে ১৯২ রানের ইনিংস। এবারের আসরে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। ফলে জয়ের জন্য রাজশাহী কিংসের সামনে টার্গেট ছিল ১৯৩ রান। ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী কিংস ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করলে বরিশাল বুলস জয় পায় ৪ রানে।
জয়ের জন্য ১৯৩ রান টার্গেটা কঠিনই ছিলো রাজশাহীর সামনে। তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল দলটি। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানে প্রথম তিন ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই পড়েছিল রাজশাহী। দুই ওপেনার মোমিনুল হক ১২ ও রাকিবুল হাসান শুন্য রানে ফিরার পর পাকিস্তানের উমর আকমল ফিরেন শুন্য হাতে। ফলে কঠিন বিপদেই পড়ে রাজশাহী। তবে চতুর্থ উইকেটে ইংল্যান্ডের সামিত প্যাটেলকে নিয়ে বরিশালের বোলারদের উপর তান্ডব চালান তিন নম্বরে নামা সাব্বির রহমান। কারন এই জুটি ভাংগার আগেই দলকে তারা নিয়ে যায় ১১৭ রানে। প্যাটেল ১৫ রান করে আউট হরেও সাব্বির ঠিকই তান্ডব চালিয়ে গেছেন। আর দলকে সামনের দিকে একাই নিয়ে গেছেন তিনি। সাব্বির ২৬ বলে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন। আর ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় করেন সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করার পর দলের জয় নিশ্চিত করার পথেই হাঁটছিলেন সাব্বির। কিন্ত সেটি আর সম্ভব হয়নি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে আউট হন সাব্বির। ৯টি করে চার ও ছক্কায় ৬১ বলে ১২২ রান করেন সাব্বির। চতুর্থ উইকেটে প্যাটেলের সাথে ৪০ বলে ৬৮ রানের জুটিও গড়েন তিনি। সাব্বির যখন আউট হন তখন রাজশাহীর প্রয়োজন ছিলো ২৪ বলে ৩৪ রান। এই কঠিন দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত ছিলেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। দলকে এগিয়েও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ করতে পারলেন না তিনি। দলের জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন স্যামি। আর শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯  রান। কিন্তু শেষ ওভারে দলটি নিতে পারে ৪ রান। ফলে বরিশাল জয় পায় ৪ রানে। বরিশালের আল-আমিন ৩ উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে দলটি। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই দিলশান মুনাওবিরার উইকেট হারায় দলটি। মুনাওবিরাকে শূন্য রানে বিদায় করার পর ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানকেও ফিরিয়ে দেন ফরহাদ রেজা। তবে ১১ বলে ১৩ রান করেন মালান। ২১ রানে ২ উইকেট হারানো বরিশালকে দারুনভাবে খেলায় ফেরান তিন নম্বরে নামা নাফিস ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে ৭১ বলে ১১২ রানের অসাধারন এক জুটি গড়েন নাফীস ও মুশফিক। বিপিএলে নিজের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৪৪ বলে ৬৩ রানে থামেন নাফিস। ৪টি করে চার ও ছক্কা হাকাঁন নাফীস। ১৬তম ওভারে নাফিস ফিরে গেলেও থিসারা পেরেরাকে নিয়ে দলের স্কোরটা নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যান অধিনায়ক মুশফিক। ১১ বলে ২৪ রানের টনের্ডোর ইনিংস খেলেন পেরেরা। আর বিপিএলে সপ্তম হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া ইনিংসে ৮১ রান করেন মুশফিক। ৫২ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। রাজশাহীর ফরহাদ রেজা ২টি উইকেট নিয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ