বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন জানেন কেবল ট্রাম্প

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা যখন নতুন মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, তখন ট্রাম্প জানালেন তিনিই কেবল জানেন কারা থাকছেন পরবর্তী সরকারের উচ্চপদগুলোতে। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে নিউ জার্সির গবর্নর ক্রিস ক্রিস্টিকে ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা কমিটির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর ক্রিস্টি ও তার কয়েকজন সহযোগী এখন আর ওই উপদেষ্টা কমিটিতে কাজ করছেন না। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ¦ ওই কমিটিতেও দেখা যাচ্ছে বলে ইউএসএ টুডে জানিয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সরকার গঠন ও অন্যান্য পদে নিয়োগ দেওয়াসহ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করার জন্য ১৬ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করেছেন ট্রাম্প। এখন ওই উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মাইক পেন্স। এই কমিটিতে ট্রাম্প পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে। ট্রাম্পের তিন সন্তানের মধ্যে রয়েছে ডোনাল্ড জুনিয়র, এরিক এবং ইভানকা ট্রাম্প। ইভানকার স্বামী জেরাড কুশনারও অন্তর্বর্তীকালীন ট্রাম্প প্রশাসনে থাকছেন। ইউএস টুডে, বিবিসি

অন্তবর্তীকালীন কমিটিতে চিফ অব স্টাফ পদে রিক ডিয়ারবনকে ও সিনেটর জেফ সেশনকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি দায়িত্বে রয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ নেতা বেন কারসন।

ইতিমধ্যে, ট্রাম্প প্রশাসনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি আরএনসির চেয়ারম্যান রেইন্স পায়ারবাসকে চিপ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, চিফ অব স্টাফ পদটি হোয়াইট হাউসের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার পদ। প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত সচিবের (পার্সোনাল সেক্রেটারি) মতো কাজ করেন ওই পদে থাকা ব্যক্তি। এই পদে নিয়োগ পাওয়া রেইন্স পায়ারবাস হাউস স্পিকার পল রায়ানের ঘনিষ্ঠ এবং রিপাবলিকান দলের বহু পুরনো বিশ্বস্ত সঙ্গী।

অপরদিকে, ট্রাম্পের মুখ্য স্ট্র্যাটেজিক কর্মকর্তা ও সিনিয়র কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করবেন তীব্র রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ব্রিটবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের স্টিভ বেনন। তিনি ট্রাম্পের প্রচারণা দলের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।

তবে অন্য পদে নিয়োগ নিয়ে উপদেষ্টারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার মাইক পেন্স অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নেতৃত্বের পরিবর্তন, নতুন সরকারের নিয়োগ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা করতে ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে যান। তিনি সেখানে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগের সমঝোতা চুক্তিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষর নেন। এই চুক্তিটি মূলত রাষ্ট্রের সঙ্গে পরিচালক হিসেবে প্রেসিডেন্টের চুক্তি। 

ওই আলোচনার পর এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘সুসংগঠিত প্রক্রিয়ায় সবকিছু এগোচ্ছে, এর ভিত্তিতেই আমি পরবর্তী মন্ত্রিসভা ও অন্যান্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেব। তবে শেষ দৌড়ে কারা জিতবে, তা কেবল আমিই জানি’

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণাকালে মুসলিম বিদ্বেষ, অভিবাসী বিরোধী অবস্থান, বর্ণবাদ, পুতিন, পুরুষতান্ত্রিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ট্রাম্প প্রতিপক্ষের দ্বারা সমালোচিত হয়েছেন। তেমনি তার নিজদল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেও ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন ট্রাম্প। দলের প্রভাবশালী অনেক নেতাই তার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। আর এজন্য তার নতুন প্রশাসনের শীর্ষপদে নিয়োগের বিষয়টি ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।

নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রে ৪ শতাধিক

ঘৃণাজনিত অপরাধ নথিভুক্ত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে এক সপ্তাহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অবমাননা এবং হুমকিসহ ৪৩৭টি ঘৃণাজনিত অপরাধের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যালঘু অধিকার পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান দ্য সাউদার্ন পভার্টি ল’ সেন্টার (এসপিএলসি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, দেশব্যাপী সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই প্রমাণ ‘অকল্পনীয় কিন্তু কল্পনাপ্রসূত নয়’।

এসপিএলসি’র মুখপাত্র মার্ক পোটক আরও দাবি করেছে, এসব হামলার বেশির ভাগই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প-সমর্থকরা চালিয়েছেন। এসপিএলসি ঘৃণাজনিত হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অনলাইন ফরম প্রস্তুত করেছে বলেও তিনি জানান। পোটক বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচুর ঘৃণাজনিত হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। 

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ঘৃণাজনিত অপরাধের পরিমাণ বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে যেখানে এমন ১৫৪টি ঘটনা ঘটে, ২০১৫ সালে ঘটে ২৫৭টি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর গতবছরই সবচেয়ে বেশি ঘৃণাজনিত অপরাধ সংঘটিত হয়।

২০১৫ সালে প্যারিস এবং সান বার্নার্ডিনো ও ক্যালিফোর্নিয়াসহ বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার ঘটনা সামনে রেখে মার্কিন নির্বাচনে রিপাবিলাকন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সকল মুসলিমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেন।

ট্রাম্প তার পুরো নির্বাচনী প্রচারণায় মুসলিম-বিদ্বেষী, অভিবাসী বিরোধী, বর্ণবাদী, পুরুষতান্ত্রিক অবস্থানকে সামনে তুলে ধরেন। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন বিতর্কিত প্রস্তাব মুসলিম ও সংখ্যালঘুবিরোধী অনুভূতিকে উস্কে দিয়েছে। ফলে দেশব্যাপী বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিতে হামলার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথমেই ভুল!

রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার বহু আগ থেকেই চরম বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও নির্বাচিত হওয়ার পর সেই আগের বিতর্কের গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে।

তবুও চিরচেনা বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তার, সম্প্রতি প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে সেই পালে হাওয়া লাগিয়েছেন হোয়াইট হাউজের এই নতুন কর্ণধার। 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম পরীক্ষা ছিল প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা নিয়োগ। ট্রাম্পের জয়ে যারা উত্তেজিত এবং আতংকিত, তাদের উভয় পক্ষের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুস্পষ্ট বার্তা। কিন্তু এতে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়ার চেয়ে আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ ও তার প্রধান কৌশলবিদ হিসেবে যথাক্রমে রেইন্স প্রিবাস ও স্টিফেন ব্যাননকে বেছে নিয়ে জনগণের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, প্রায় সমান মর্যাদার দুই পদে এ নিয়োগ ট্রাম্পের উগ্র জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তবায়ন ঘটেছে।

প্রিবাস রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (আরএনসি) চেয়ারম্যান এবং ব্যানন রক্ষণশীল রাজনৈতিক গণমাধ্যম ব্রাইবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের নির্বাহী চেয়ারম্যান। হয়তো ট্রাম্প এতে দুই কূল রক্ষা করতে চেয়েছেন। প্রিবাসকে নিয়োগ দিয়ে ট্রাম্প মডারেট রিপাবলিকান এমনটি ডেমোক্রেট সমর্থকদেরও বোঝাতে চেয়েছেন যে তার শাসন ব্যবস্থা অধিকতর কনভেনশনাল হতে যাচ্ছে। এতে ট্রাম্পবিরোধী রিপাবলিকানদের কাছে টানতে চেয়েছেন। অন্যদিকে কট্টর ডানপন্থী ব্যাননকে দিয়ে তিনি তার উগ্র জাতীয়তাবাদী শ্বেতাঙ্গ সমর্থকদের কাছে নিজের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখিয়েছেন।

সিনেটের সংখ্যালঘুবিষয়ক নেতা হ্যারি রেইডে মুখপাত্র অ্যাডম জেন্টলসন বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্টিফেন ব্যাননকে বেছে নেয়ার অর্থ হল তিনি হোয়াইট হাউসের শীর্ষ পর্যায়ে শ্বেতাঙ্গদের উগ্র আধিপত্য দেখতে চান।’

বিদ্বেষ ও বর্ণবাদ পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ দ্য সাউদার্ন পোভার্টি ল’ সেন্টার ব্রাইবার্ট নিউজের বিরুদ্ধে নৃ-জাতীয়বাদকে সাদরে গ্রহণ করার অভিযোগ তুলেছে। ব্যাননের নিয়োগের কথা ঘোষণার পর থেকে এই গ্রুপ কয়েকটি টুইটবার্তা প্রকাশ করেছে। সেখানে ব্রাইবার্ট নিউজের কয়েকটি বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাদের প্রথম টুইটে বলা হয়, ‘স্টিফেন ব্যানন ছিলেন ব্রাইবার্টকে শ্বেতাঙ্গ নৃ-জাতীয়তাবাদী প্রোপাগান্ডা মেশিনে রূপান্তরিত করার প্রধান চালক।’ দ্বিতীয় একটি টুইটে বলা হয়, ‘এ নিয়োগ বাতিল করা উচিত ট্রাম্পের।

নিজের বিজয় ভাষণে তিনি বলেছেন, সব মার্কিনির প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা তার। ব্যাননের উচিত পদত্যাগ করা। সাউদার্ন পোভার্টি ল’ সেন্টার তাদের বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প যে উগ্র নাৎসীবাদী ক্লু ক্লাক্স ক্যান (কেকেকে) আধিপত্য ফিরিয়ে আনতে চান বলে অভিযোগ রয়েছে তার সত্যতা প্রমাণ হয়েছে ব্যাননের নিয়োগে। ব্যাননের নিয়োগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইহুদিবিদ্বেষবিরোধী আন্দোলন দি অ্যান্টি-ডিফেমেশন লীগ।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, ‘স্টিফেন ব্যাননকে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কৌশলবিদ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি একটি হতাশাজনক বার্তা পাঠায়। সেটি হল, মুসলিমবিরোধী ও শ্বেতাঙ্গ জাতীয়বাদী ভাবাদর্শ হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো হবে। আমরা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি এই বাজে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাই, যদি তিনি সত্যিই আমেরিকানদের ঐক্যবদ্ধ করতে চান।’

ইলেক্টোরাল ভোট বিলুপ্ত করতে সিনেটরের চাপ

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একজন সিনেটর মঙ্গলবার ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট বাতিলের আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ব্যবস্থার কারণে এবারের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন প্রায় ১০ লাখের মতো ভোট বেশি পাওয়া সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি ওঠেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর বারবার বক্সার এ আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেন।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এমন একটা দেশ যেখানে আপনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট পদে হারতে পারেন।’

মার্কিন সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পপুলার ভোট নয়, ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নির্ধারিত রয়েছে।

বক্সার বলেন, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটব্যবস্থা সেকেলে ও অগণতান্ত্রিক যা আমাদের আধুনিক সমাজের প্রতিফলন নয়। এবং এটা অবিলম্বে পরিবর্তন করা প্রয়োজন। প্রত্যেক আমেরিকানকে এই নিশ্চয়তা দেয়া উচিত যে তার ভোট গণনা করা হচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আংশিক ফলাফল অনুযায়ী, হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় আট লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন। তবে তিনি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে হেরেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৯ অঙ্গরাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প ২৯০টি ও হিলারি ২৩২টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। একটি রাজ্যের ফল ঘোষণা এখনও বাকি রয়েছে। তবে এ রাজ্যে হিলারি জিতলেও তা নির্বাচনের ফলাফলে কোন প্রভাব ফেলবে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ