বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

‘বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি যথার্থ’

২০১৪ সলের ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটেছে। সেদিন প্রধান বিরোধীদলসহ অন্যান্য দলকে বাইরে রেখে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রের বিকাশ ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জরুরি এবং বিরোধী দলের এই দাবি যথার্থ। জাস্ট নিউজ।

মঙ্গলবার বিকালে হাউস অব কমন্সের কমিটি রুমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সায়মন ডানজাক এমপি।

সিটিজেন মুভমেন্ট ইউকে আয়োজিত সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন- পল ব্লমফিল্ড এমপি, জেইম কার্টলিজ এমপি, লর্ড কোরবান হোসাইন, লর্ড আহমেদ, ব্যারোনেস লর্লি বার্ট, কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে এম মালেক, ইউএনসি’র সদস্য ও জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, সিটিজেন মুভমেন্টে ইউকের আহ্বায়ক এম এ মালিক, রাজনৈতিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, মুফতি শাহ সদর উদ্দিন, মানবাধিকার কর্মী সুমন রায়, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, ফ্রান্সের এম এ তাহের, নরওয়ের বাদল ভূঁইয়া, জুনায়েদ আহমেদ, আয়ারল্যান্ডের কবির আহমেদ প্রমুখ।

সেমিনারে অংশ নিয়ে লর্ড আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন চরম হুমকির মুখে। সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। দ্রুত এর পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

শেফিল্ড সেন্ট্রালের এমপি পল ব্লমফিল্ড বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে বাংলাদেশে এখন ঝুঁকির মুখে। একটি হচ্ছে গণতন্ত্রের সংকট অন্যটি জলবায়ু পরিবর্তন। এ দুটির মোকাবিলায় সকল রাজনৈতিক দলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির সূচক ঊর্ধ্বমূখী কিন্তু গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি ও আইনের শাসনের অভাব দেশটিকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে।

ড. কেএম মালিক বলেন, বিগত নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে একটি স্বৈরশাসনের আবির্ভাব ঘটেছে। গুম, হত্যা, খুন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। 

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের আগে উন্নয়ন’ এই ধোয়া তুলে শতকরা এক শতাংশ মানুষ অর্থাৎ কেবল দলীয় অনুগতদের অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে আর নিরানব্বই শতাংশ মানুষের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ করে চলেছে বর্তমান এ অনির্বাচিত সরকার। এই পরিস্থিতি উত্তরণে বৃটেনসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার রাষ্ট্রসমূহের নজর দেওয়া প্রয়োজন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য একের পর এক নানা অপকর্ম ঘটিয়ে চলেছে। কেড়ে নিয়েছে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার।

জাতিসংঘের এই সংবাদদাতা বলেন, মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেবল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১৫২ জন বিরোধী মতের রাজনীতিককে হত্যা করা হয়েছে। ৮২ জনকে গুম করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। যার মধ্যে ৮টি লাশ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নয় শেখ হাসিনাকেই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।

সিটিজেন মুভমেন্টে ইউকের আহ্বায়ক এম এ মালিক সেমিনার আয়োজনের জন্য সায়মন ডানজাক এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এই সংকটে যুক্তরাজ্যকে পাশে দাঁড়াতে হবে। গণতন্ত্র ও মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যুক্তরাজ্যকে আমরা আরো কার্যকর ভূমিকায় দেখতে চাই।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, সিটিজেন মুভমেন্টের কামাল উদ্দিন, নাসির আহমেদ শাহিন, আবেদ রাজা, খসরুজ্জামান খসরু, শামছুর রহমান মাহতাব, গোলাম রাব্বানি সোহেল, রহিম উদ্দিন, ডক্টর মুজিবুর রহমান, তাজুল ইসলাম, ফেরদৌস আহমেদ, আঙ্গুর মিয়া, জাহিদ চৌধুরী, আনোয়ার আলী, এম এ মুকিত, আব্দুল আহাদ, মতিন মোল্লা, আবুল কাহার, সেলিম আহমেদ, মোশাহিদ আলী তালুকদার,গউস আলী, এডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল, আক্তার আলী, মোহাম্মেদ নুরবক্স আহমেদ, পাভেল আহমেদ, শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, পারভেজ কবির, শরিফ উদ্দিন বাবু, এম সাইফুল শিফু, এডভোকেট খলিলুর রহমান, ফয়সল আহমেদ, আবুল কালাম মতিন, এম এ সালাম, তাজবির চৌধুরী শিমুল, ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া, আফজাল হোসেন, নুরুল আলী রিপন, মাসুক আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, নাসরিন আক্তার, মির্জা রুবি, আঞ্জনা আলম, লুবা চৌধুরী, রেহেনা ইসলাম সুমি, ফজলে রহমান পিনাক, মাহমুদুর রহমান, ইপন আহমেদ চৌধুরী, শাহ জামাল, লাকি আহমেদ প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ