পাইলটের ভুল বা যান্ত্রিক ত্রুটিতেই রুশ বিমান দুর্ঘটনা
অনলাইন ডেস্ক: রাশিয়া বলছে, রোববারের বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ ছিল পাইলটের ভুল অথবা যান্ত্রিক ত্রুটি। কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ১১ জন যাত্রীর মৃতদেহ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে, এবং নিহতদের সন্ধানে কৃষ্ণ সাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে দিন রাত ২৪ ঘণ্টার এক অভিযান চালানো হচ্ছে।
সোচি থেকে সিরিয়ার লাটাকিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া রুশ তুপোলেভ বিমানটির ৯২ জন আরোহীর সবাই মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধান কাজে অংশ নিচ্ছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি উদ্ধার কর্মী। সাগরে জাহাজ, ডুবুরি, আকাশে জেট-বিমান ও হেলিকপ্টার দিয়ে নিহতদের মরদেহ খোঁজা হচ্ছে সচির আশেপাশে।
বিধ্বস্ত বিমানটির এই ছবিটি তোলা হয় গত বছর
নিহতদের মধ্যে রয়েছে রুশ সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সৈন্য, সেনাবাহিনীর সঙ্গীত দলের সদস্য এবং কয়েকজন সাংবাদিক।
আজ সোমবার রাশিয়ায় জাতীয় শোক পালিত হচ্ছে ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দিন রাত তিনটি শিফটে সাড়ে চার মাইল এলাকাজুড়ে এই অভিযান চলছে। এক মিনিটের জন্যেও সেটা বন্ধ হয়নি।
তিনি জানান, এপর্যন্ত ১১টি মৃতদেহ এবং বিমানের দেড়শতাধিক টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। মুখপাত্র ইগর কনাশেনকফ-
তিনি বলছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সামরিক বিমানে করে ১০টি মৃতদেহ মস্কোতে পাঠানো হয়েছে।
মানব শরীরের আরো ৮৬টি অংশও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্যে ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা এখন তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করছেন।
কৃষ্ণসাগরের তীরে অনেকেই ফুল রেখে গেছে শোক প্রকাশের জন্য
দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায় নি। রুশ পরিবহন মন্ত্রী বলেছেন, সম্ভবত পাইলটের ভুলে কিম্বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
এর পেছনে সন্ত্রাসী কোনো কিছুর ভূমিকাকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা কারণটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেটি অক্ষত রয়েছে।
রোববার সোচির আডলার বিমান বন্দর থেকে সিরিয়ার লাটাকিয়া শহরের উদ্দেশ্যে উড়ান শুরু করার দু'মিনিটের মধ্যেই র্যাডার থেকে হারিয়ে যায়। বিমানটি যাত্রা শুরু করেছিলো মস্কো থেকে, পথে তেল নিতে তা সোচিতে অবতরণ করে।