শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গলদা চিংড়ির মূল্য হ্রাস চাষিরা আগ্রহ হারাচ্ছে

খুলনা অফিস : গলদা চিংড়ির বাজার মূল্যে ধ্বস নামায় খুলনার ডুমুরিয়ায় গলদা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে চাষিরা। দিনে দিনে কমছে গলদা চিংড়ির দাম। অধিক দাম পাওয়ার আশায় কৃষকরা ছুটে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন বিক্রয় মোকামে। কিন্ত ছুটেও কোন লাভ হচ্ছে না। ফলে দেউলিয়া হতে চলেছে লিজে মৎস্য ঘের নেয়া চাষিরা। পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন লিজে নেয়া জমির হারির টাকা। অবস্থার পরিবর্তন না হলে আগামীতে আর গলদা চিংড়ি চাষ করবেনা চাষিরা বলে জানিয়েছেন। তবে আগামী কিছুদিন পর দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে খুলনা মৎস্য অধিদপ্তর।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের মধ্যে গলদা চিংড়ি চাষে ডুমুরিয়া প্রথম। এখানে প্রায় ২৫ হাজার গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। কৃষকরা গলদা চিংড়ি চাষে অধিক লাভবান হয়ে ঝুঁকে পড়েছে ঘের ব্যবসায়ে। চোখে-মুখে ফুটে উঠেছিল সোনালী স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ বিলীন হতে চলেছে।
লিজে মৎস্য ঘের নিয়ে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে এমন কৃষক সাজিয়াড়ার আসাদ শেখ, মির্জাপুরের মিহির কুমার মন্ডল, শরাফপুরের আরশাব আলী, শোভনার কার্তিক মন্ডল জানান, গলদা চিংড়ি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় তারা মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিল গলদা চাষ।  কিন্তু তা এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা জানান, জমির হারি, মৎস্য খাবার, পোনা ক্রয়, পাহারাদারের বেতনসহ বিভিন্ন খরচে প্রতি কেজি গলদার পেছনে যে খরচ হয়েছে বিক্রি মূল্য এখন তার চেয়ে অনেক কম। ফলে ঘের মালিকদের হারির টাকা দিতে পারছেন না। তাদের মাথায় উঠছে ঋণের বোঝা। যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয় তা হলে তারা আর গলদার চাষ করবে না।
তারা আরো জানান, গত বছর যে গলদার দাম ছিল ১৩শ’ টাকা, এ বছর সে গলদার দাম সাড়ে ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ৪/৫শ’ টাকা কম।
ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রী জানান, মাছের দাম বৃদ্ধি না পেলে কৃষকরাতো উৎসাহ হারাবেই।
খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রক প্রফুল্ল কুমার সরকার গলদা উৎপাদনে ডুমুরিয়া খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে চাহিদার ঘাটতি হওয়ায় এমনটি হয়েছে। তবে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর হয়তো দাম একটু বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ