শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ভারত তোষণ নীতির কারণেই সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না -বাংলাদেশ ন্যাপ

স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতায় যাওয়া এবং টিকে থাকার জন্য ভারত তোষণ নীতির কারণেই সীমান্তহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ প্রতিবাদের প্রতীক। এই ছবি শুধু ফেলানীর লাশের ছবি নয়, এই ছবি কাঁটাতারে বিদ্ধ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। এই ছবি বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিকদের ভারত তোষণ নীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ভারত সীমান্তহত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন সম্পর্কে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয় না তারা বাংলাদেশের মন্ত্রী, মনে হয় তারা ভারতীয় জনপ্রতিনিধি। নেতৃদ্বয় বলেন, ফেলানী হত্যার মধ্যেদিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের বরবরতার চিত্র ফুটে উঠেছে। বিএসএফ আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সীমান্তে নির্বিচারে নিরিহ বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, খুন, গুম, অপহরণ নির্যাতন, নিপীড়ন চালাচ্ছে।
 তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সরকার দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। সীমান্তে বাংলাদেশী জনগণ স্বাধীন ভূখণ্ডে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা ও কৃষি কাজ করতে পারছে না। ৭ জানুয়ারি ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটা তারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ভারত প্রীতির কারণে সীমান্ত আগ্রাসন ও ফেলানীসহ সীমান্তে কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। নেতৃদ্বয় শহীদ ফেলানী দিবসে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ