শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

অস্ত্র বিক্রিতে রাশ টানায় জাপান সফল

৯ জানুয়ারি, বিবিসি : বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় খুব সহজেই অস্ত্র মেলে। আত্মরক্ষার কথা বললেই অস্ত্র কেনা যায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে। গুলী করে হত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাইতো অস্ত্র বিক্রি আইনে রাশ টানতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি ওবামা প্রশাসন।
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রিতে রাশা টানতে না পারলেও জাপান পেরেছে। তাইতো জাপান বন্দুক সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনা অনেক কম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানে এ অপরাধ সবচেয়ে কম। ২০১৪ সালে বন্দুকের গুলীতে মাত্র ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে মরেছে ৩৩ হাজার ৫৯৯ জন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জাপান কিভাবে এই অসাধ্য সাধন করলো? জাপানে অস্ত্র কিনতে হলে দিনব্যাপী ধৈর্য ও একাগ্রতার পরীক্ষা দিতে হয়। এছাড় দিনব্যাপী এ সংক্রান্ত ক্লাস করতে হয়। এরপর লিখিত ও শ্যুটিং পরীক্ষা দিতে হয়। শুধু পরীক্ষা দিলেই হয় না, তাতে শতকরা ৯৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। মানসিক স্বাস্থ্য ও কোনো মাদক নেয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। আরো দেখা হয় যে অস্ত্র কিনবে তার অপরাধের রেকর্ড ও পুলিশের খাতায় তার কোনো নাম আছে কিনা। এরপর তার আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই দেওয়া হয় অস্ত্রের লাইসেন্স। আবার পুলিশ চাইলে অস্ত্র এবং লাইসেন্স দুটোই ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে এখানেই শেষ নয়। প্রকাশ্যে হ্যান্ডগান ব্যবহারের অনুমতি নেই জাপানে। এর লাইসেন্সও দেওয়া হয় না। শুধু শটগান ও এয়ার রাইফেল ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়া হয় জাপানীদের।
এতো গেল অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়। এবার আসা যাক অস্ত্রের দোকানের ইস্যুতে। জাপানে অস্ত্রের দোকান খোলার আইনও খুব কড়া। জাপানের ৪০টির বেশি এলাকায় তিনটির বেশি অস্ত্রের দোকান নেই। আর নতুন কার্তুজ কিনতে হলে ব্যবহৃত কার্তুজ ফেরত দিতে হয়েছিল। এছাড়া অস্ত্র ব্যববসায়ী কোথায় তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ রেখেছে তাও পুলিশকে জানাতে হয়। পুলিশ প্রত্যেক বছরই অস্ত্রের গুদাম পরিদর্শন করে।  আর তিন বছর অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। এরপর আবার সব পরীক্ষা দিয়েই ফের লাইসেন্স নিতে হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ