শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রক্ষকই যখন ভক্ষক!

রাজ্যশ্রী বকসী, কলকাতা : ২০১৭-র শুরুতেই ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তথ্য অনুযায়ী পুলিশের হাতে ধর্ষণ ও শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছিল কমপক্ষে ১৬ জন মহিলাকে। ২০১৫ সালের নবেম্বরে এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বস্তার এলাকায়।

তথ্যে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ রকম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরও ২০ জন। তাদের বয়ান রেকর্ডের অপেক্ষায় রয়েছে।

ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন-এর কাছে খবর আসে ভারতের পাঁচ জায়গায় পুলিশের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। 

ওই এলাকাগুলি হল বীজপুর জেলার পেগড়াপল্লি, চিন্নাগেলুর, পেড্ডাপেলুর, গুন্ডাম ও বুর্গিচেরু। সব কটিই ২০১৫-র নবেম্বরের ঘটনা। 

তারপর তদন্ত শুরু করে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন। তদন্তে জানা যায়, ওই এলাকায় যৌন নির্যাতনের শিকার সব মহিলাই উপজাতি সম্প্রদায়ের। তফশিলি জাতি ও উপজাতির ওপরে নির্যাতন প্রতিরোধ অ্যাক্টের শর্ত লঙ্ঘন করেছে পুলিশ। এই অ্যাক্টের অধীনের প্রাপ্ত আর্থিক ত্রাণ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। সেজন্য ছত্তিশগড় প্রশাসনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন। 

 সেইসঙ্গে কমিশন জানতে চেয়েছে, নির্যাতিতাদের কেন ৩৭ লাখ টাকার অন্তর্বর্তীকালীন আর্থিক সাহায্য করা হয়নি।

কমিশন আরও জানিয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ৩৪ জন এফআইআর-ও করেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নির্যাতনের বিস্তারিত জানা হয়েছে।

কমিশনের নির্দেশ তদন্ত ও আইন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে একটি টিম গড়া হোক। এখনও যে ১৫ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি একমাসের মধ্যে তাদের বয়ান নেওয়া হোক। এছাডা সিআইডি-র ডিজি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর ১৯ জন নিগৃহীতার বয়ান নিয়ে তা যেন কমিশনে জমা দেওয়া হয়।

ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন মনে করছে প্রশাসনিক চাপের ফলে এত জন মহিলা ধর্ষিতা হওয়া সত্ত্বেও কোন রকম আইনি সাহায্য নিতে পারেনি এতদিন। যেখানে রক্ষকই ভক্ষক, সেখানে এটাই হবার কথা। তবে এখন এরা প্রত্যেকে ন্যায় বিচার পাবে বলে মনে করছে ভারতের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ