শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সুন্দরবনের আত্মসমর্পণকৃত ‘নোয়া বাহিনী’ প্রধানসহ ১২ বনদস্যুকে কারাগারে প্রেরণ

বাগেরহাট সংবাদাতা: আত্মসর্মপণ করা সুন্দরবনের বনদস্যু নোয়া বাহিনী প্রধানসহ ১২ সদস্যকে শনিবার মধ্যরাতে দু’টি পৃথক মামলা দিয়ে বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ২৫ টি অন্ত্র ও এক হাজার একশ পাঁচ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে এসব বনদস্যু আত্মসমর্পণ করে। এসব বনদস্যু’র নামে র‌্যাব ৮ এর ডিএডি মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে মামলা পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে সুন্দরবন দাপিয়ে বেড়ানো ৮টি বনদস্যু বাহিনীর র‌্যাব’র কাছে আনুষ্ঠনিকভাবে আত্মসমর্পণ করল। গত ৩১ মে থেকে সুন্দরবনে ছয় দফায় ৮ বনদস্যু বাহিনীর ৭২ জন সদস্য ১৬৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ হাজার ৬শ’ ৩৬ রাউন্ড গুলি র‌্যাবের কাছে জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে।
মংলা থানায় দায়ের করা মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা বনদস্যুদের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাটের নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকীবিল্লাহ ওরফে নোয়া মিয়া (৩৭), মো. মনিরুল শেখ (৩৮), মো. মানজুর মোল্লা রাঙ্গা (৪২), মো. মুক্ত শেখ (৩৭), মো. তরিকুল শেখ (৬০), মো. আকবর শেখ (৪২), মো. কিবরিয়া মোড়ল (৪০), মো. জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪৮), মো. ইউনুস শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর (৪০), মো. মিলাদুল মোল্লা ওরফে কালু ডাকাত (২৮), মো. মোশারেফ হোসেন (৩৭) ও মো. আল আমিন সিকদার (৫০)।
সুন্দরবনের জেলে অপহরন ও জলদস্যুদের নিয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশের পর সুন্দরবনে আইনশৃখলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়। গত ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু “মাস্টার বাহিনীর” ১০ জন জলদস্যু ৫২টি দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৪ হাজার ৫০০ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে প্রথম বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসর্মপণ করে। তার ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুলাই সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু “মজনু ও ইলিয়াস বাহিনীর” ১১ জন জলদস্যু ২৫ টি দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ হাজার ২০ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয়। গত ০৭ সেপ্টেম্বর জলদস্যু “আলম ও শান্ত বাহিনীর” ১৪ জন জলদস্যু ২০ টি দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং সর্বমোট ১ হাজার ৮ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয়। ১৯ অক্টোবর সাগর বাহিনী ১৩ সদস্যকে ২০টি দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯৬ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ জমা দেয়। গত ২৮ নভেম্বর খোকাবাবু বাহিনীর ১২ সদস্য ২২টি দেশী বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৩ রাউন্ড গোলাবারুদসহ র‌্যাব-৮ এর নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং সর্বশেষ ৭ জানুয়ারী নোয়া বাহিনীর ১২ সদস্য ২৫ টি অন্ত্র ও এক হাজার একশ পাচ রাউন্ড গুলিসহ র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ