শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ভবিষ্যতে ঢাকার নাম হবে জিয়াসিটি আর গোপালগঞ্জের নাম হবে মুজিবনগর -দুদু

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের উদ্যোগে ষড়যন্ত্র ও ওয়ান ইলেভেনের সরকার শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই জানতেন। তিনি বলেন, সে সময় পরিকল্পিতভাবে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ পরিকল্পনার সব কথা শেখ হাসিনা জানেন। অথচ কেউ তাদের বিচারের কথা বলেন না। তবে এক সময় তাদের বিচার হবেই। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু বলেন, ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকার নাম পরিবর্তন করে জিয়া সিটি করা হবে। পাশাপাশি  গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ষড়যন্ত্র ও ওয়ান ইলেভেনের সরকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দানকালে তারা এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নামের একটি সংগঠন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এহসানুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি মঈন-ফখরুদ্দিন কীভাবে ক্ষমতায় এসেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব জানেন। এছাড়া ওই ঘটনা রাজনীতির ওপর হস্তক্ষেপ ছিল না, সেটা ছিল সাময়িক অভ্যূত্থান। কারণ ওই সরকারের কে কে উপদেষ্টা হবেন সে তালিকা আগে থেকেই তৈরি ছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান মঈন-ফখরুদ্দিনের পথেই রাজনীতি চলছে। রাজনীতিতে এটা সুষ্ঠুতার পথ নয়। আর সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে না আসলে গণতন্ত্র আসবে না।
এমাজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজের কাছে ন্যূনতম জবাবদিহি যদি করতেন তাহলে এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেন। রাজনীতি হলো কল্যাণকর। যেখানে ন্যায়বোধ নেই, সেখানে রাজনীতি হয় না।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা অপরিহার্য। অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণকারীদের বিচার করাটা অত্যাবশ্যক। এর কোনো বিকল্প নেই।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনারা পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তন করে ইন্দুরকানি করেছেন। ইন্দুরকানি কি জিয়াউর রহমানের চেয়ে বেশি সম্মানিত ব্যক্তি ? আপনারা গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর করছেন না কেন?
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর করবো। তবে আপনাদের সাথে আলোচনা করেই করবো। কারণ গোপালের চেয়ে মুজিবুর রহমান অনেক সম্মানিত ব্যক্তি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেন। অথচ তার জন্মস্থানের নাম রাখলেন গোপালের নামে। গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর করার জন্য আপনাদেরকে আমরা প্রস্তাব দেবো। আলোচনা করে নাম পরিবর্তন করবো।
এ সময় ঢাকার নাম পরিবর্তন করে জিয়া সিটি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইন্দুরকানী কি জিয়াউর রহমান থেকে বড়। আপনাদের এত ছোট মন মানসিকতা কেন। যেসব স্থানে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব নাম যথাযথভাবে প্রতিস্থাপন করা হবে।
জিয়াকে খাটো করলে স্বাধীনতাকে খাটো করা হয় মন্তব্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেখ মুজিবের মাজার জিয়ারত করেছেন। শেখ মুজিবকে বিএনপি কখনো ছোট করে দেখে না, যথাযথ মর্যাদা দেয়। জিয়াকে ছোট করেন এটা ঠিক না।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশ না রেখে আপনাদের মন্ত্রীরা রাস্তায় নামেন তো। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নামে রাস্তায় কাউকে পাওয়া যাবে না। পুলিশ না থাকলে কি হয় আপনারাও জানেন। কাল বিএনপি ক্ষমতা আসলে কি হবে আপনারাও জানেন।
গত মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি বলেছেন আগুন যারা দিয়েছে তাদের বিচার হবে গণআদালতে। এই বক্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দেবো। গণআদালত মানে স্বচ্ছ নির্বাচন, ওখানে বিচার হবে। আমরা সঠিক নাকি আপনারা সঠিক।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ