বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঠেলাবোঝাই কয়েন দিয়ে কর পরিশোধ

১৩ জানুয়ারি, ব্রিস্টল হেরাল্ড কুরিয়ার : কর্তৃপক্ষের উপর খাপ্পা হয়ে পাঁচটি হুইলব্যারোতে তিন লাখ কয়েন চাপিয়ে কর পরিশোধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ব্যবসায়ী। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভার্জিনিয়ার সেডার বাফ শহরের বাসিন্দা নিক স্ট্যাফোর্ডের সঙ্গে মোটরযান নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিএমভি) ঝামেলা চলছিল ছয় মাস ধরে; এরমধ্যেই বুধবার চাকা লাগানো ঠেলায় (হুইলব্যারো) কয়েন নিয়ে ওই বিভাগে হাজির জন স্ট্যাফোর্ড।
ডিএমবির স্বয়ংক্রিয় গণনাযন্ত্র এত কয়েনের ভার সামলাতে পারেনি। পরে সংস্থার কর্মীরা সাত ঘণ্টা শ্রম দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েন গোণা শেষ করেন। সরকারি বিভাগগুলো জনগণের জিজ্ঞাসায় ‘ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায়’ নিক স্ট্যাফোর্ডের এমন অভিনব প্রতিবাদ। বিবিসিকে তিনি বলেন, “আপনি বছরে তিনশ ডলার কর দিচ্ছেন, না আমার মত তিন লাখ ডলার- সেটা বিবেচ্য হওয়া উচিৎ নয়। কেননা প্রজাতন্ত্রের মূল কথাই হল শুরুতেই সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।”
কর শোধের আয়োজন
* স্ট্যাফোর্ডের করের কয়েন নিতে দরকার হয়েছে পাঁচটি হুইলব্যারো, এজন্য তাকে চারশ ডলার খরচ করতে হয়েছে।
* কাগজের মোড়ক খুলে কয়েনগুলো হুইলব্যারোতে জমা করতে ১১ জনের চার ঘণ্টা সময় লেগেছে।
* তিন লাখ কয়েনের মোট ওজন ছিল ৭২৬ কেজি, যা একটি গরুর ওজনের বেশি।
* কয়েনগুলো গুণে কর বুঝে নিতে সময় লেগেছে সাত ঘণ্টা। স্ট্যাফোর্ডের ওয়েবসাইট ক্রাফটভিনাইল ডটকমে (http://www.craftvinyl.com/page165) জানানো হয়েছে, ডিএমভির সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ‘ঝামেলা’ শুরু হয় তার।  কোম্পানির তিনটি গাড়ির নিবন্ধন করা এবং কোথায় বিক্রয় কর দিতে হবে তা জানতে মোটর ভেহিকেল বিভাগের যার সঙ্গে কথা বলতে হবে তার ফোন নম্বর চেয়েছিলেন এই ব্যবসায়ী। দুটি আলাদা শহরে চারটি বাড়ি থাকায় নিবন্ধনের ব্যাপারটা গোলমেলে মনে হওয়ায় সরকারি সহায়তা চাইতে ওই নম্বর দরকার ছিল বলে তার, যা দিতে ডিএমভি তাকে ঘুরিয়েছে।
ব্রিস্টল হেরাল্ড কুরিয়ারের খবরে বলা হয়, ডিএমভির সহযোগিতা না পেয়ে স্ট্যাফোর্ড তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। তখন তাকে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হলেও সেখানে ফোন করার পর স্ট্যাফোর্ডকে বলা হয়, এই নম্বর সাধারণ মানুষের অনুসন্ধানের উত্তর দেওয়ার জন্য নয়। পরে ডিএমভি অনুসন্ধানের বিষয়ে তথ্য দিলেও স্ট্যাফোর্ড অন্যান্য শহরের আরও নয়টি কর অফিসের ফোন নম্বর চান। এবার তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে আদালতে ডিএমভি ও এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জরিমানা করতে তিনটি আলাদা আবেদন করেন নিক।
সপ্তাহের শুরুতে আদালত আবেদনগুলো খারিজ করে দেয়; তবে রাজ্যের আইন কর্মকর্তারা স্ট্যাফোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী কর অফিসের নম্বরগুলো তাকে দেন। স্ট্যাফোর্ড বিবিসিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৬৫ সালের কয়েনেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী সব ধরনের ঋণ, বকেয়া, কর ও শুল্কের ক্ষেত্রে কয়েন ব্যবহার বৈধ। সুতরাং কর পরিশোধে তার দেওয়া কয়েন নিতে ডিএমভি বাধ্য ছিল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ