শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আ’লীগ এমপি মোসলেমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : ৭১’এ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিং-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মোসলেম উদ্দিনসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন গতকাল সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের ২নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার প্রধান সাক্ষী হয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
মামলার অপর আসামীরা হলেন- ফুলবাড়িয়া সদরের ফয়জুল বারী (৬৫), চৌদার প্রামের আ: ছামাদ মাস্টার ওরফে টিক্কা খান (৭৮), আব্দুল ম-ল (৮২), কুশমাইল গ্রামের মফিজ উদ্দিন ওরফে মফে (৮২), ভালুকজান গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন ফকির (৮২), পুটিজান গ্রামের মোকসেদ আলী (৭০), এবাদুল্লাহ (৭২), কুশমাইল গ্রামের মোকসেদ আলী (৮০), ওয়াহেদ আলী মুন্সী (৮০) ও ছুরহাব আলী (৮০), কালাদহের আবুল হোসেন (৮০) ও মুছা (৭৫), পাটুলি গ্রামের আব্দুল হালিম (৬৫), আছিম তিতারচালা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৬৫) এবং আছম টানপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন (৬২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার আসামীগণ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতাকারী, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, দালাল, জঙ্গি, দেশদ্রোহী ও আইন অমান্যকারী লোক। ১৯৭১ সালে বর্তমান সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন স্থানীয় এমপি নির্বাচিত হন। এমপি হয়েও তিনি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজাকার কমান্ডে যোগ দেন এবং জেলা রাজাকার কমান্ড প্রধান আব্দুল হান্নানের সঙ্গে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার শান্তি কমিটির কোষাধ্যক্ষ নিয়োজিত ছিলেন।
এ সময় তিনি ফুলবাড়িয়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগসহ নানা অপরাধ কর্মকা- পরিচালনা করেন।
৭১ সালের ২৭ জুন তারিখে জোড়বাড়িয়া গ্রামের বাদীর বাড়িসহ আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সালামসহ  ভালুকজানের পাল বাড়ি ও ঋষি বাড়ি লুণ্ঠন করে পুড়িয়ে দেয়।
এরপর ৩৩ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট অফিসার ও রাজাকারদের মোসলেম এমপিসহ অন্যান্য বিবাদীগণের সক্রিয় সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট গ্রামের নিরীহ জনগণের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, খুন-জখম এবং পাক বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফুলবাড়িয়া থানার কৈয়ারচালা গ্রামের মালেকা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে।
৭১ সালের ২০ জুন কুশমাইলের বসু চৌধুরীকে, ১২ জুন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদকে এবং ফুলবাড়িয়া বাজারে ৮ জন ঋষিকে হত্যা করে। ২৯ নবেম্বর তালেব আলী, সেকান্দর আলী, আলতাব আলীকে হত্যা করে ভালুকজান নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
এ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়।
এসব কর্মকা-ে অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিনসহ উল্লেখিত আসামীরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ