শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি বৃহস্পতিবার

জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় গতকাল সোমবার বকশিবাজারস্থ দায়রা জজ অস্থায়ী আদালতে হাজিরা শেষে বের হয়ে আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: দিনভর উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বাগ্বিতণ্ডার পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গতকাল সকালে শুনানির শুরুতেই খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান এই মামলা পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মামলার ধার্য কার্যসূচি অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি করতে বলেন। এরপর আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তাদের আবেদনের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি-তর্ক তুলে ধরেন।

 বেলা দেড়টার আগে আদালত খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শুরুর জন্য তার বয়স কত জানতে চান। শুনানির একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া কিছু খাননি। তার আইনজীবীরাও খাননি। দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শেষ না হলে আদালত বেলা একটা ৫০ মিনিটের দিকে বিরতিতে যান। 

আদালত আবার বসে বেলা আড়াইটার দিকে। এরপর খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জয়নাল আবেদীন দুই দিন সময় চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল পাল্টা যুক্তি তুলে ধরে আজকেই খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শুরু করতে বলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে প্রচ- বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে চারটার দিকে আদালত আগামী বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ধার্য করেন। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার পুনঃতদন্তের আবেদনের ওপর বিস্তারিত শুনানির সময়ও ওই দিন ধার্য করেন। বিকেল পৌনে চারটার দিকে খালেদা জিয়া আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। গতকাল শুনানি চলার সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও উপদেষ্টা আবদুস সালাম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে আদালতে আসেন। এর আগে ২৬ জানুয়ারি এই মামলার আরও দুজনের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শেষ হয়। ওই দিনই আদালত খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন আদালতে হাজির না থাকায় মামলার আসামী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সেদিন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ছাড়া দুর্নীতির আরেকটি মামলা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছিলেন আদালত।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলায় রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামীর বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। মামলার ছয় আসামীর মধ্যে সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যাবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ গত ২৬ জানুয়ারি আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। মামলার বাকি দুই আসামী সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ