শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সুপ্রিম কোর্টের গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর দাবি ওলামা লীগের

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের ফোয়ারার সামনে স্থাপিত গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য অবিলম্বে অপসারণের জন্য আবেদন করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন দাবি করা আওয়ামী ওলামা লীগ। সংগঠনের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আবুল হাছান গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বরাবর লিখিত আবেদনে এই দাবি জানান।
সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনের সামনে ফোয়ারার মধ্যে এটি স্থাপন করা হচ্ছে। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছেন ভাস্কর মৃণাল হক। চোখ বাধা একজন নারী দাঁড়িয়ে আছেন। তার ডান হাতে তলোয়ার বাম হাতে দাঁড়িপাল্লা। তলোয়ারটি নিচের দিকে নামানো। দাঁড়িপাল্লা উঁচুতে ধারণ করে আছেন। 
এই ভাস্কর্যটি স্থাপনের পর ইসলামী রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এটি অপসারণে দাবি করে আসছে। তবে এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে লিখিত আবেদন জমা দেয়ার ঘটনা এই প্রথম।
ওলামা লীগের আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহ্ ময়দান। সালাতে সালাম ফেরানোর সময় চোখে পড়ে গ্রীক দেবীর মূর্তি প্রতি। মুসলমানগণ একত্ববাদে বিশ্বাস করেন। মূর্তি একত্ববাদের সাথে সাংঘর্ষিক। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলমান। এটি কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা।
আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপনে বাংলাদেশের জনগণ বিষ্মিত এবং এই মূর্তি স্থাপন সংবিধানের ১২ ও ১৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
আবেদনে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট স্থাপিত হয়। ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে ছিল দাঁড়িপাল্লা। বিগত ৬৮ বছর ধরে কেউ এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেনি। ৬৮ বছর পর হঠাৎ করে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লার জায়গায় গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে কী ন্যায় বিচার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে সেটা জনগণের কাছে বোধগম্য নয়।
ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের কোনো স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন না হলেও ক্ষমতাসীনদের পক্ষে নানা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নীতি নির্ধারক নেতাকে সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ