আধুনিকতার ভিড়ে মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে
মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দের তাজপুর গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল (৬৫) আটচল্লিশ বছর ধরে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করে আসছেন। তার বাপ-দাদাও এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি জানান, মাটি তৈরি জিনিসপত্র একটি কুটিরশিল্প। তিনি এখন সাভার, বরিশাল, শ্রীনগর, সিরাজদিখানসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কুমারদের তৈরি জিনিসপত্র কিনে নিয়ে এসে লাঙ্গলবন্দের তাজপুর বিক্রি করছেন। তিনি জানান, আগের মতো আর মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে না। প্লাস্টিক, কাচ, মেলামাইন, এ্যালুমিনিয়াম ও সিলভারের তৈরি জিনিসপত্রের কাছে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি তৈজসপত্র হারিয়ে যেতে বসেছে। তার মতে মাটির তৈরি ভাতের হাঁড়ি, দুধের হাঁড়ি, তরকারির হাঁড়ি ও কলসসহ অনেক জিনিসপত্র হারিয়ে যেতে বসেছে। কয়েক বছর আগেও প্রতি মাসে কমপক্ষে হলেও এক হাজার মাটির কলস বিক্রি হতো। এখন এক বছরে মাত্র ২শ’ কলস বিক্রি হয়। ইতোমধ্যে মাটির তৈরি তামাক খাবারের কলকি, মটকি হারিয়ে গেছে। মাটির সরাও এখন আর তেমন চলে না। তবুও গ্রাম-গ্রঞ্জের লোকজন সরা, ডাকনা, কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু শহরের লোকজন এগুলো আর কিনেন না।
প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম আবিষ্কার হচ্ছে মাটির শিল্প। হাতের নানান কারুকার্যে ভরা এই শিল্পটি দেশে-বিদেশে ছিল বেশ সমাদৃত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই শিল্পটি এখন হুমকির মুখে। নারায়ণগঞ্জের গৌরান্দের ন্যায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই এখন বিকল্প ব্যবসা ধরে নিয়েছেন। যাদের অনেকেই পারিবারিকভাবেই এই পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। আগে গ্রামের অলি-গলিতে হাতের তৈরি মাটির এসব পাত্র নিয়ে কুমারীরা ঘুরে বেড়াতেন। বৈশাখ মাস ছাড়াও বছরের নানা সময়ে বসত কুটির শিল্প মেলা। তবে এখন আর সেভাবে দেখা যায়না। পিঠা বানাতে একটি মাটির খোলা খুঁজতে হয়রান হয়ে যেতে হয়। রাজধানীতে হাতে গোনা কয়েকটি বাজারে মাটির তৈরি এসব জিনিস দেখা যায়। তবে চাহিদা না থাকায় এসব ব্যবসায়ীরাও হতাশ।
সূত্র মতে, বিশেষ বিশেষ সময়ে অনুষ্ঠিত মেলায় দেখা মিলে মাটির এসব তৈজসপত্র। বিশেষ করে বাংলা সালের বিদায় ও বরণ উৎসবে। সময় পরিক্রমায় বিদায় নিতে চলেছে আরো একটি বাংলা সাল। মাঝে আর একটি মাস। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বাংলা ভাষীরা এদিন মাতবে সর্বজনীন আনন্দ উৎসবে। দেশজুড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্য। আয়োজন কর হবে বৈশাখী মেলা। আর তাতে স্থান পাবে ঐতিহ্যিক নানা বস্তু। এর মধ্যে অন্যতম হলো মাটির তৈরি তৈজসপত্রসহ নানা ধরনের খেলনা। মেলায় আগতদের হাতে হাতে স্থান পাবে সেসব জিনিস। কথিত মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও স্থান করে নেবে এগুলো। বৈশাখ বরণের অন্যতম অনুষঙ্গ মাটির তৈরি হাঁড়িসহ অন্য পণ্যসামগ্রী অন্যতম। মাটির তৈরি এ শিল্পের অবস্থা জানাতে গিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বসন্তপুরের মৃৎশিল্পী সুশান্ত কুমার পাল জানান, আগের মত এখন মৃৎশিল্পের তেমন চাহিদা নেই। তবে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কিছুটা ব্যস্ততা থাকে তাদের। তিনি জানান, পহেলা বৈশাখ দোরগোড়ায়। তার চাহিদা অনুসারে মাটির তৈরি হাঁড়ি, হাতি, ঘোড়া, হরিণ, পুতুলসহ নানা পণ্য তৈরির আয়োজন চলছে। এখনো কোনোটি নরম কাদায় মাখানো। আবার কোনোটি রোদে শুকিয়ে শক্ত করা হচ্ছে। মার্চ মাসে মাঝামাঝিতে এগুলোতে রং-তুলির আঁচড় দেওয়া হবে।
সুশান্ত জানান, আগে বিভিন্ন মেলায় তার তৈরি শখের হাঁড়ির চাহিদা ছিল ব্যাপক। দিন দিন সেই কদর কমছে। এরপরও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে তার শখের হাঁড়িসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা থাকে। ফলে সারা বছর শেষে এই সময়ের অপেক্ষায় থাকেন সুশান্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা। বৈশাখী মেলা উপলক্ষে তিন মাস ধরে তাদের কিছুটা ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। তিনি জানান, বছর কয়েক আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ছুটে আসতো তার তৈরি জিনিস কেনার জন্য। এখন সেরকম চাহিদা নেই। যারা আসেন, তারাও মেলা বা কোনো উপলক্ষে আসেন।
মৃৎশিল্পী সুশান্ত জানান, কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন কারুশিল্প পরিষদ, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, জাতীয় জাদুঘর, কারিকা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনসহ (বিসিক) সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০ থেকে ২৫টি সনদ। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদকও। শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে তিনি অর্জন করেছেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সম্মাননাও। এর আগে বিসিকের শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী নির্বাচিত হন ১৯৯৯ সালে। ২০১৩ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত কারুশিল্প প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছিলেন সুশান্ত। সেবার জাপানের তাকামাসু শহরের সেতুছি টার্মিনালে ৪০ দিন ধরে চলে তার শখের হাঁড়ির প্রদর্শনী। আক্ষেপ করে বলেন, রাজধানীতে এবারের বৈশাখী মেলায়ও নিজের পসরা নিয়ে হাজির হবেন গোদাগাড়ীর এই কৃতী মৎৃশিল্পী।
সুশান্ত বলেন, শখের হাঁড়ির কারিগরদের বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। শুধু মেলার ওপর নির্ভর করেই তাদের আয়ের পথ খুঁজতে হয়। তবে অনেক সময় মেলায় তাদের মাটির পণ্যসামগ্রী নিয়ে যেতে পরিবহন খরচ পড়ে অনেক বেশি। সরকারিভাবে মেলার আয়োজন করা হলে তারা কিছুটা আর্থিক সুবিধা পায়। এতে তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখে। অন্যথায় গুণতে হয় লোকসান। এই কৃতী মৃশিল্পী জানান, মাত্র ২০ বছর আগেও তাদের গ্রামসহ পাশের সিন্ধু কুশনী, জেলা সদরের হড়গ্রাম ও কোর্ট স্টেশন এলাকা, গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী, হরিশংকরপুর কুমারপাড়া ও বালিয়াঘাটা, তানোরের রাতোল ও কালীগঞ্জ, বাগমারার মহত্পুর ও বাঙালপাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বারোঘরিয়া এবং নওগাঁর মান্দা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবার দৃষ্টিনন্দন মাটির শখের হাঁড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিনে দিনে মানুষ এসব হাঁড়ি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ জন্য এখন খুবই অল্পসংখ্যক পরিবার এ পেশার সঙ্গে যুক্ত। বসন্তপুর গ্রামটির কুমারপাড়া হিসেবে পরিচিতি থাকলেও এ গ্রামে এখন একমাত্র মৃৎশিল্পী সুশান্ত কুমার পাল।
সুশান্ত কুমারের স্ত্রী মমতা রানী পাল জানান, শখের হাঁড়ি-সাঞ্জি, পাঞ্চসাঞ্জি, মাটির পুতুল, ঘোড়াসহ মাটির দৃষ্টিনন্দন নানা তৈজস বানানোর প্রশিক্ষণের জন্য লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন মাসব্যাপী একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে তাদের বাড়িতে। এতে প্রশিক্ষকের দায়িত্বটা তাকেই দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থী মুক্তি রানী পাল ও অরুণা রানী পাল বলেন, একসময় তাদের গ্রামের সব কুমার পরিবারে শখের হাঁড়ি বানানোর প্রচলন ছিল। এখন কিছু পরিবার মাটির তৈজসপত্র তৈরি করলেও দৃষ্টিনন্দন শখের হাঁড়ি সুশান্ত পাল ছাড়া আর কেউ তৈরি করেন না। ফলে অনেকেই এই হাঁড়ি তৈরির কলাকৌশল ভুলে গেছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা আবারও গ্রামে ফিরিয়ে আনতে চায় শখের হাঁড়ির ঐতিহ্য।
মাটির তৈরি জিনিসপত্র গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। এক সময়ে মাটির তৈরি জিনিসপত্র ছাড়া সংসার জীবনে চলাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াত। মনের আনন্দে গ্রামবাংলার গৃহবধূসহ সব বয়সী নারী-পুরুষ মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে নিপুন হাতের তৈরি মৃৎশিল্পের (মাটির তৈরি) তৈজসপত্র। মৃৎশিল্প একদিন বাংলাদেশের গৌরবের ভরপুর ছিল। কালের বিবর্তনে মাটির তৈরি অনেক জিনিসপত্র বিলীন হয়ে গেছে। এক সময়ে মাটির জিনিসপত্র তৈরিতে কুমার পাড়ায় মৃৎশিল্পীরা সারাক্ষণ ব্যস্ত সময় কাটাত। এখন আনুধিকযুগে কাঁচ, সিলভার, এ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক অথবা মেলামাইনের তৈজসপত্র বাজারে ভরপুর থাকায় মাটির তৈরি জিনিসপত্র হারিয়ে যেতে বসেছে। হাঁড়ি-পাতিল, ডাবর-মটকি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু যেমন মাটির ব্যাংক, শো-পিস, গহনা, কলস, ফুলের টব, ফুলদানি, ঢাকনা, পিঠা তৈরির ছাঁচসহ নানা রকম খেলনা তৈরি করেন মৃৎশিল্পীরা। এখনও অনেক সৌখিন পরিবারের বাসা-বাড়িতে মাটির তৈরি ফুলের টপ শোভা পাচ্ছে।
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতায় মৃৎশিল্প মর্যাদা লাভ করেছিল। আজ সে গৌরব ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিকতার ভিড়ে মৃৎশিল্প আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। মাটির তৈরি জিনিসপত্র কিনে আনতে হাট-বাজারে ছুটে যেতে লোকজন। কিন্তু এখন আর মাটির তৈরি জিনিসপত্র কিনতে হাটে ছুটে যেতে কাউকে দেখা যায় না। হাটের নদীর ঘাটে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বোঝাই নৌকাও এখন আর ভিড়ানো থাকে না। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের অনেক পরিবারে মাটির তৈরি দু’একটা খেলনা ছাড়া আর কোন তৈজসপত্র খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা তাও সন্দেহ রয়েছে। অনেকের কাছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন শুধুই স্মৃতি। শহরে বাসার চাদে বা বারান্দায় মাটির তৈরী পাত্র ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন তাতেও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্লাস্টিক ও সিমেন্টের তৈরী পাত্র পাওয়া যাচ্ছে নার্সারাীগুলোতে। টেকসই ও দীর্ঘদিন অক্ষুণœ থাকার কারণে অনেকেই মাটির পাত্রের বদলে সিমেন্ট বা প্লাস্টিকের পাত্রকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
গ্রামবাংলায় ধান কাটার মওসুমে এ শিল্পে জড়িত কুমারদের আনাগোনা বেড়ে যেত। সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে মাটির হাঁড়ি-পাতিল বোঝাই ভার নিয়ে বিক্রেতারা দলে দলে ছুটে চলত পাড়া-মহল্লা ও গ্রাম-গঞ্জে। রান্না ও বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকমের হাঁড়ি-পাতিল, সরা, গামলা, গাছা, থালা, যাঁতা, দোনা, ভাক্কুন, ঝাঁজর, মটকি, আইল্লা, গরুর খাবার দেয়ার চাড়ি, কোলকি, কড়াই, কুয়ার পাট, মাটির ব্যাংক, শিশুদের জন্য রকমারি নক্সার পুতুল, খেলনা ও মাটির তৈরি পশুপাখি নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটে যেত। অনেক সময় ধান, গম, মসুর, বুট, ছোলাস নানা উৎপাদিত পণ্য দিয়েও গৃহবধূরা মাটির তৈরি জিনিসপত্র সংগ্রহ করত। মাটির তৈরি দুইয়ের পাতিল, মাটির ব্যাংক, বিভিন্ন খেলার প্রচলন এখনও রয়েছে। মাটির তৈরি অনেক খেলনা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের বাসাবাড়িতে শোভা পাচ্ছে। খেলনায় নিপুণ হাতে করা হচ্ছে নানা ধরনের নক্সা ও কারুকাজ। মাটির টপের এখনও বেশ চাহিদা রয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ বিহারী ক্যাম্পের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন জানান, আগে অনেক চাহিদা ছিল। এখন তেমই নেই। একান্তই প্রয়োজনের তাগিদে কেউকেউ মাটির জিনিস কিনেন। তিনি বলেন, বিক্রি কম হওয়ায় তিনি ব্যবসা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। তিনি জানান, একটি মাটির তৈরি সরা ৪-৫০ টাকা, মাটির তৈরি ব্যাংক ১৫-১২০ টাকা, হাঁড়ি ১৫-৫০ টাকা, মটকি ৫০০ টাকায়, কলস ১০-১০০ ফুলের টপ ও ফুলদানি ১০-২৫০ টাকা ও দইয়ের পাতিল ৬-১০ টাকায় বিক্রি হয়। তিনি বলেন, পূজায় মাটির হাঁড়ি-পাতিল ব্যবহার করা হয়, তাই এ সময় বিক্রি বেশি হয়। এছাড়া মিষ্টির দোকানে দইয়ের পাতিল, ফুলের টবের চাহিদা এখনও আছে বলেই অনেকে এখনও পেশায় টিকে আছে। তবে আগের মতো চাহিদা না থাকায় মৃৎশিল্পীরা অন্য পেশায় ঢুকে পড়ছে।
মাটির পাত্রের ব্যবহার নিয়ে পুরান ঢাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলী জানান, মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন আর তেমন চলে না। আমাদের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। আমরা এখন প্লাস্টিক, মেলামাইন ও সিলভারের তৈরি জিনিসপত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছি। মাটির তৈরি জিনিসপত্র ভঙ্গুর। মাটিতে পড়লেই ভেঙ্গে যায়। প্লাস্টিক, মেলামাইন, এ্যালুমিনিয়াম ও সিলভারের তৈরি তৈজসপত্র মাটি পড়লেও ভাঙ্গে না। তিনি জানান, তবে কিছু কিছু মাটির তৈরি জিনিসপত্রের এখনও কদর রয়েছে। শাহজাহান ৭০ টাকা দিয়ে মাটির তৈরি মুড়ি ভাজার একটি পাত্র কিনে নিয়ে যান। তিনি জানান, মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন শহরের অনেকের কাছেই শুধু স্মৃতি।