শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আইএসের উত্থান ঠেকাতে হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে মিসর!

২১ ফেব্রুয়ারি, রয়টার্স: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল সিসি’র বৈরিতা নতুন নয়। তবে দীর্ঘ বৈরিতার পর এবার হামাসমুখী হচ্ছে জেনারেল সিসির সরকার। হামাসের নেতৃত্বাধীন গাজার কর্তৃপক্ষকে বাণিজ্যিক সুবিধা প্রদানেরও প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। মূলত সিনাই উপত্যকা এবং সংলগ্ন সীমান্তে আইএসের উত্থান ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
সিনাই উপত্যকায় ইতঃপূর্বে আইএস জঙ্গিদের হাতে শতাধিক পুলিশ ও সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। ফলে হামাস’কে নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও আইএস ঠেকাতে তাদের ওপরই আস্থা রাখতে চাইছে মিসর।
মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে হামাসের সুসম্পর্ক ছিল। তবে সেনা অভ্যুত্থানে মুরসি’র পতনের পর তার দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু করে জেনারেল সিসির সেনা সরকার। ব্রাদারহুড ঘনিষ্ঠ হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন জেনারেল সিসি। গাজা সীমান্তের বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়। সীমান্তে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।
দুই দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, এমন পরিবর্তন দীর্ঘ উত্তেজনার পর দুই পক্ষের সম্পর্কের একটা নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত।
মিসরের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘সীমান্ত ও সুড়ঙ্গগুলো নিয়ন্ত্রণে আমরা সহযোগিতা করতে আগ্রহী। আমরা চাই তারা সশস্ত্র হামলাকারীদের আমাদের হাতে হস্তান্তর করুক এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে বয়কট করুক।’ আর তারা চায়, সীমান্ত ক্রসিং যেন চালু থাকে এবং এর সুবাদে যেন তারা অধিক বাণিজ্য করতে পারে। এটা মাত্র আংশিকভাবে শুরু হয়েছে। আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ