শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সাঁথিয়ায় নদী ও হাটবাজারের জায়গা বেদখল

সাঁথিয়া সদরের বোয়াইলমারী বাজারের পশ্চিম পাশে ইছামতি নদীর মধ্যে এভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা

বেড়া (পাবনা) সংবাদদাতা: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বেপরোয়াভাবে নদী ও হাটবাজারের জমি দখল করা হচ্ছে।
পাবনা জেলা প্রশাসন যখন ইছামতী নদী দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঠিক সেই সময় নতুন করে ইছামতী নদীতে আরসিসি পিলার করে পাকা ইমারত নির্মাণের কাজ করছে প্রভাবশালী মহল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনো ফল হচ্ছে না।
সাঁথিয়া উপজেলা সদরের বোয়াইলমারী মৌজায় ইছামতী নদীতে (পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আই-৩ প্রধান সেচখাল) আরসিসি পিলার দিয়ে পাকা নির্মাণকাজ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। একইভাবে আরসিসি পিলার দিয়ে হলুদঘর মৌজায় ইছামতী ব্রিজের পাশে পাকা স্থাপনা র্নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে গত ১৭ জানুয়ারি সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এফআইআর করেন বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাঁথিয়া উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী। কিন্তু আবেদনটি আমলে নেয়া হয়নি।
 এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে একটি সূত্র জানায়, হলুদঘর ব্রিজের কাছের নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনাটির নির্মাণকাজ বন্ধ করেছে পুলিশ। তবে বোয়াইলমারী বাজারের পশ্চিম পাশের নির্মাণাধীন পাকাকাজ এখনো চলছে। এ দিকে নদীর পাশাপাশি হাটের জমিও দখল করছে প্রভাবশালী একটি মহল। হাটের মধ্যে খাসজমি যা হাট ফেরিফেরির জমি বলে পরিচিত সেসব জমিতে প্রভাবশালীরা পাকাঘর নির্মাণ করে সেগুলো আবার ভাড়া দিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে।
সাঁথিয়া উপজেলা সদরের বোয়াইলমারী হাটের মধ্যে (১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত) সরকারি খাস জমিতে (আর এস দাগ নং ১১৫৯ ও ১১৬০) সাঁথিয়া পৌরসভা মেয়র মেরাজুল ইসলাম গং পাকা ইমারত তৈরি করছেন। এ ছাড়াও তার নিকটবর্তী অপর দু’টি প্লটে (আর এস দাগ নং ১১৫০ ও ১১৫১) আরসিসি পিলার করে পাকা ইমারত র্নির্মাণ করছেন প্রয়াত অসীত কুমার দাসের ছেলে অসীম কুমার দাস।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া পৌরসভা মেয়র মেরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পৌর পরিষদের সিদ্ধান্তে আর এস ১১৫৯ ও ১১৬০ নং দাগে খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমিতে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের’ নামে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এই মার্কেট নির্মাণ হলে পৌর সভার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে অসীম কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সম্পত্তি তাদের পৈতৃক বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব জমি খাস খতিয়ানভুক্ত। মাপজোক হবে, তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আপাতত যারা নির্মাণকাজ করছেন তাদের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালা বলেন, ‘সরকারি জমি বা খাস জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বা দখল করতে দেয়া হবে না।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ