শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ৩টি ফাঁড়ির উন্নয়ন নেই

খুলনা অফিস: খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার তিন ফাঁড়িতে অচল ভটভটি ও টেম্পু দিয়ে চলছে রাতে পাহারা। দিনের বেলা পায়ে হেঁটে আর রাতে অচল যানবাহনে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনে থাকতে হয় পুলিশ সদস্যদের। এমন অবস্থায় নিরাপদ আবাসন ও আধুনিক যানবাহনের পাশাপাশি লোকবল বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আওতায় তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। বানিয়াখামার ফাঁড়িতে একটি অচল ভটভটি, ছোট বয়রা ফাঁড়িতে একটি পুরাতন টেম্পু ও জোড়াগেট ফাঁড়িতে কোন যানবাহন নেই। পুরাতন ভটভটি ও টেম্পু দিয়ে ফাঁড়ি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে চলে রাতের টহল। যার বিকট শব্দ ও অতি ধীর গতি পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে। এ সব যানবাহনে কোথাও রওনা হলে পথিমধ্যেই কয়েকবার বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ কোন সংবাদে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হয় না। বিকট শব্দে আগে ভাগে টের পেয়ে যায় অপরাধীরা। পুরাতন ও জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেন পুলিশ সদস্যরা। নোংরা শৌচাগার ও পানির সঙ্কট রয়েছে। পর্যাপ্ত ফোর্সের অভাবে দায়িত্ব পালনে হিমশিমও খেতে হয়। এতে করে ফাঁড়িগুলোতে দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের দিনযাপন দুরূহ হয়ে পড়েছে।
বানিয়াখামার ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শফি উদ্দিন জানান, একটি অচল ভটভটি দিয়ে রাতে ডিউটি করতে হয়। কোথাও রওনা হলে কয়েকবার স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। ফাটল ধরা ও জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের থাকতে হয়। জনবল কম থাকায় টহল দিতে হিমশিম খেতে হয়। বানিয়াখামার ফাঁড়িতে একজন এসআই, চারজন মহিলা ও ১০ জন পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে। দিনের বেলায় পায়ে হেঁটে ও রাতের বেলায় ভটভটিতে দু’টি টহল টিম প্রতিদিন তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
ছোট বয়রা ফাঁড়িতে রয়েছে একটি আগের কালের টেম্পু। পথ দিয়ে চলার সময় টেম্পুর শব্দে বিরক্তি প্রকাশ করে পথচারীরা। পুরাতন টেক্সটাইল মিলের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থাকতে হয় পুলিশ সদস্যদের। প্রায় দিনই টেম্পু নষ্ট থাকায় পায়ে হেঁটে টহলে বের হতে হয়। শোবার বিছানাগুলোও অনেক পুরাতন হয়ে নোংরা হয়ে গেছে। ফাঁড়িতে একজন এসআই, চারজন মহিলা ও ১০ জন পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে।
ছোট বয়রা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সেকেন্দার আলী জানান, ফাঁড়িতে থাকার ভাল পরিবেশ নেই। অনেকটা বাধ্য হয়েই থাকতে হয়। ভাল ভবনে ফাঁড়ি স্থানান্তর ও যানবাহন পরিবর্তন করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
জোড়াগেট ফাঁড়ি নামে থাকলেও কার্যক্রম নেই বললে চলে। এই ফাঁড়িতে একজন এটিএসআই ও দুইজন পুরুষ কনস্টেবল রয়েছে। তাদের থানার সাথে দায়িত্ব দেয়া হয়। কোন প্রকার যানবাহন নেই।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, পুরাতন ভবনের বিষয়ে ইতোমধ্যে হেডকোয়ার্টারকে জানানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলে ভাল পরিবহনের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হবে।
কেএমপি কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি বলেন, পর্যায়ক্রমে এগুলো সমাধান করা হবে। আমাদের নিজস্ব যানবাহন কম থাকায় সমস্যাগুলো হচ্ছে। তবে একটু ভালো মানের পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ