শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কিশোরগঞ্জের দুই আসামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায় যে কোন দিন

স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের দুই আসামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় যে কোন দিন ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
উল্লেখ্য এই মামলার দুই আসামী হলেন কিশোরগঞ্জের সৈয়দ মো: হোসেন (৫৪) ও মো: মোসলেম প্রধান (৬৬)। এদের মধ্যে মোসলেম প্রধান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকলেও মো: হোসেন পলাতক রয়েছেন। তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। হোসেন অপর এক মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পলাতক আসামী হাসান আলীর ছোট ভাই।
কিশোরগঞ্জের এই দুজনের বিরুদ্ধে গত বছর ৯ মে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। আদালত মোসলেম প্রধানের আইনজীবী আবদুস ছাত্তার পালোয়ানকেই মো: হোসেনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন। এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই এই বিচার শেষে মামলাটি অপেক্ষমান রেখেছেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।
পরে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে ও সৈয়দ হোসেনকে ছয়টি অভিযোগেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় আমরা ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণকে গণহত্যার সমতুল্য হিসেবে ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আর্জি জানিয়েছি। সেজন্য আন্তর্জাতিকভাবে সংঘটিত বিভিন্ন বিচারের নজির তুলে ধরেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামীদের মৃত্যুদ-ই হবে একমাত্র শাস্তি সেকথাও আমরা আদালতে বলেছি।
অপরদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, মোসলেম প্রধান একজন কৃষক এবং সৈয়দ মো. হোসেইন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এই দুজন রাজাকার ছিলেন না। তাদেরকে শাস্তি দোষী সাব্যস্ত করা হলে ইতিহাস বিকৃতির আশঙ্কা রয়েছে। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। এজন্য আমরা আদালতে তাদের খালাস চেয়েছি।
গত ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ নয় মাস ২৫ দিন তাদের অপরাধের তদন্ত কাজ শেষ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হরি দেবনাথ। তদন্তে মূল ১৬১ পৃষ্ঠার সঙ্গে সর্বমোট চারশ ৩৯ পৃষ্ঠার নথিপত্র সংযুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে ৬০জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচী এবং ঘটনাস্থলের স্থির চিত্র দাখিল করা হয় প্রসিকিউশনে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে মোট ঘটনা ৬টি। এরমধ্যে হত্যার ৬২টি, অপহরণ ও আটক ১১জনকে এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ দু’শ ৫০টি বাড়ি ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ