শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, চরম বিপর্যস্ত হবে অর্থনীতি

জি. কে. সাদিক : গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনেকটা স্বেচ্ছাচারিতার মতো কাজ। সুবিধাভোগী গুটি কয়েক লোক ছাড়া সুশীল সমাজ এটার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে আসছে শুরু থেকেই। দেশ পরিচালনা করতে হবে দেশপ্রেম ও জনস্বার্থের উপকারের জন্য বা জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে। গ্যাসের ব্যাপারে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত ঠিক কী কারণে নেয়া হয়েছে তার কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সরকার পক্ষ থেকে কোন যৌক্তিক কারণও দর্শানো হয়নি। যুক্তিগত কোন কারণ ছাড়া গ্যাসের দাম বৃদ্ধি দেশ বা জাতির জন্য কোন ধরণের কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে? কল্যাণ হবে না অকল্যাণ হবে তার মোটামুটি এখন সবার জানা। তবে এটা বুঝি দেশ পরিচালকদের বুঝা হচ্ছে না। নাকি তারা বুঝেও কোন কারণে না বুঝার ভান করছে তা বুঝা বড় দায় হয়ে পড়েছে। গ্যাসের এমন অপরিকল্পিত ভাবে দাম বৃদ্ধি যে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে তা আর ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই। এখন কথা হলো কী এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে যার জন্য সুশীল সমাজসহ সব ধরণের রাজনৈতিক সংগঠন সমূহ এর বিরুদ্ধে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে আমাদের অর্থনীতিতে ও দেশে এক চরম অরাজকতার সৃষ্টি হবে। গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে শিল্প-কারখানাগুলোর উৎপাদনে নানা বিধি সমস্যার সৃষ্টি করবে এবং কর্মসংস্থান বন্ধ হওয়ার এক মহা হিড়িক পড়বে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় যে, দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং নানা বিধি অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হবে। পরিবহনে যে নৈরাজ্য চলছে সে নৈরাজ্য বৃদ্ধির এক নতুন ইন্ধন যোগাবে এই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি। গ্যাস শহরে রান্নার একমাত্র উপকরণ বলা চলে। ৬০ শতাংশ দাম বাড়ার ফলে সিঙ্গেল চুলা ৬০০ টাকার পরিবর্তে ৯০০ টাকা হবে আর ডাবল হবে ৬৫০ এর স্থলে ৯৫০ যা স্বাভাবিক জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়াবে ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আয়-ব্যয়ের বৈষম্য বাড়াবে। নিত্য প্রয়োজনীয় শিল্প পণ্যগুলোর দাম বাড়বে অন্যদিকে সমান। সাধারণ মানুষকে বেশি দামে কিনতে হবে নিত্য প্রয়োজনীয় এইসব পণ্য যার ফলে ব্যয় বাড়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়বে না আয়। তাহলে আয়-ব্যয়ের বৈষম্যের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনের উপর অর্থনৈতিক চাপের সৃষ্টি হবে।
গত ২২ জানুয়ারি দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় “মহা বেকারত্বের পদধ্বনি” শিরোনামে একটা প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেখানে বলা হয় যে,  গত দু বছরে শ্রমিক মজুরি বেড়েছে ৩২ শতাংশ, বিদ্যুৎ খরচ বেড়েছে ১৫ শতাংশ, গ্যাসের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ এবং একই সময়ে ৩০ শতাংশ বেড়েছে পরিবহন খরচ। সব মিলিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ। ব্যাংকগুলো থেকে সুবিধামতো ঋণ পাচ্ছে না এবং নানা প্রতিকূলতার কারণে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলে ব্যবসায়ে লাভের স্থানে হচ্ছে ক্ষতি। নিজের ক্ষতি করে কেউ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালাবে না ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান সংকট ফলে বাড়বে বেকারত্বের হার। দেশের মানুষকে বেকার রেখে অর্থনৈতিক মুক্তি কতটা হবে বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কতটা বাড়বে তা সহজেই অনুমেয়।
১ মার্চ এবং আগামী ১ জুন থেকে দু দফায় গ্যাসের দাম বাড়বে ২৩ শতাংশ। স্বল্প সময়ে গ্যাসের আকাশচুম্বি দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে নানামুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্যবসার ব্যয় বাড়বে এবং রফতানি বাধাগ্রস্ত হবে। গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে উন্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে ও অর্থনীতির নানামুখী কর্মকান্ড মেটানোর জন্য শিল্প-কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করা যায়নি। এর ওপর সার্বিক ভাবে এ মূল্য বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নীরব ধস নামবে। ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করার ঘোষণা করা হয়েছে ইতোমধ্যে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদনে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণটাই গ্যাস এবং বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। তাহলে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ার ফলে ক্রেতারা পণ্যের দাম কমানোর চাপ দিচ্ছেন। একদিকে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি অন্যদিকে রফতানি মূল্য হ্রাস। উভয় সংকটের মধ্যে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাই হয়ে পড়েছে বড় দায়। ব্যবসায় ক্ষতি করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালাতে চাইবে না বা পারবে না ফলে বিনিয়োগ গুটিয়ে নিবে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ফলে কর্মসংস্থান কমে যাবে। কর্মসংস্থান কমে গেলে তার পরিণতি কী হবে তা বুঝতে আর বাকী নেই। ক্যাপটিভ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
উন্নয়নের বা কোন কাজের পিছনে পরিকল্পনা গ্রহন করা ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন পূর্বশর্ত। বারবার হঠাৎ করে গ্যাসের দাম বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিতে পারছে না যথাযথ পদক্ষেপ। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে না এবং বিনিয়োগ গুটিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে। এভাবে ক্রমাগত চলতে থাকলে দেশের চলমান অর্থনীতির চাকা অচল হয়ে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাকে গতিশীল রাখতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ(এফবিআই) আকর্ষন করার ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে বিনেয়োগে নিরুৎসাহিত করবে। ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের যে প্রভাব রয়েছে তা অল্পদিনে গুটিয়ে যাবে। শিল্পোদ্যোক্তাদের অভিযোগ, এমনিতেই নানা মুখী প্রতিকূল পরিবেশের কারণে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ না পাওয়ায় তাদের উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এই বাধাকে আরো শক্তিশালী করবে।
অন্যদিকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি বস্ত্রখাতকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করবে। সস্তা শ্রম ও গ্যাস ছাড়া বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সম্পদ নেই। শিল্পের কাঁচামাল ও মেশিনারিজসহ সবই আমদানি করতে হয়। অন্যদিকে প্রতিযোগী দেশ ভারতের তুলা থেকে শুরু করে মেশিনারিজ সবই আছে। গত কয়েক মাস আগে ভারত নতুন বস্ত্রনীতিতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি রুপি প্রণোদনা অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ৩ বছরে পোশাক শিল্পে বাংলাদেশকে টপকানোর ঘোষণা করেছে দেশেটি। তুলা, সুতাসহ সব ধরণের কাঁচামাল এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি ভারতের নিজস্ব। একারণে এ ধরণের প্রতিযোগীতার মুখে এবার আর টিকতে পারবে না আমাদের বস্ত্রখাত। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বস্ত্র শিল্প প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশগুলোতে আমাদের দেশের বস্ত্রখাতে যে বিচরণ ছিলো সেটা ক্রমাগত ভাবে ভারতের দখলে চলে যাচ্ছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এই দখলে যাওয়ার কাজকে বেশ গতি যোগাবে।
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি দেশের কৃষি খাতকেও চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিবে। উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে এই অজুহাতে গ্যাসের দাম বাড়ার আগেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। চলতি বছরের প্রথম ভাগেই শিল্প মন্ত্রণালয় প্রতি টন ইউরিয়া ১৪ হাজার টাকার স্থলে ১৮ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে প্রতি টনের দাম বাড়বে ৪ হাজার টাকা এবং প্রতি ৫০ কেজি বস্তাপ্রতি দাম বাড়বে ২০০ টাকা। গ্যাস সংকটে বছরের ৭ মাস সার কারখানাগুলো বন্ধ থাকে। একদিকে দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে কারখানা বন্ধ থাকার ফলে সারের সংকট দুয়ে মিলে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এখনো বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষি খাতে বিপর্যয় এই মানুষগুলোর জীবন মানে বড় ধরণের দূর্ভোগ ডেকে আনবে। দেশের গ্রামীন পরিবারগুলো প্রায় সম্পূর্ণটাই কৃষি নির্ভর। সারের যোগানের সমস্যা হওয়া মানে কৃষি খাতে বিরূপ প্রক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া আর এর মানে গ্রামীন পরিবারে দারিদ্য্রতাকে বাড়িয়ে দেয়া।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তাতে নতুন ভাবে ইন্ধন যোগাবে। সিএনজি   (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) এর দাম ১ মার্চ থেকে বাড়ানো হয়েছে ৩৫ টাকা(পূর্ব মূল্য) থেকে ৩৮ টাকা প্রতি ঘনমিটার। ২০০০ সালে পরিবেশ দূষণ থেকে নগরীকে বাঁচাতে সরকারি উৎসাহে পরিবহন খাতে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে সিএনজিতে রূপান্তরিত গাড়ির সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি। প্রথমে প্রতি ঘনমিটার সিএনাজির দাম ছিলো ৭ টাকা ৪৫ পয়সা। কিন্তু গত ১৬ বছরে এর দাম বেড়েছে ৫৩৭ শতাংশ। সিএনজি (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস)-র  এমন দাম বাড়ার ফলে পরিবহন খাতে ভাড়া নিয়ে বেশ নৈরাজ্য পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় ঢাকা শহরের ৮৭ শতাংশ সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মিটারে নির্ধারিত ভাড়ায় কোন গন্তব্যে যেতে চান না। চালকদের ৩৫ শতাংশ যাত্রীদের পছন্দের জায়গায় যেতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে বেশি বাড়ায় যেতে হয়। ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মিটারের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেশি ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। পরিবহন খাতের চলমান এই অরাজক পরিস্থিতির জন্য কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টা গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে অরাজকতা আরো বাড়বে।
এখন কথা হলো এতো সমস্যা সৃষ্টির স্পষ্ট ইঙ্গিত থাকার পরেও কেনো সরকার গ্যাসে দাম বৃদ্ধি করছে? গ্যাসের মওজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার যে অজুহাত সরকার দেখাচ্ছে তা ধোপে টিকে না। কারণ সরকার গ্যাসের অনুসন্ধান না চালিয়ে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এর স্থায়ী কোন সমাধান দিতে পারবে না। ২০১২ সালে সমুদ্র সীমা নিষ্পত্তির পর থেকে মিয়ানমার অসংখ্য অনুসন্ধান চালিয়ে ৫টি গ্যাসক্ষেত্রে খুঁজে পেয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ কোন অনুসন্ধান চালায়নি এবং কোন উদ্যোগও গ্রহণ করেনি। দেশে যখন বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট চলছিল, সে সময় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্র এনেছে যা আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে। জনস্বার্থ বিবেচনায় অনুরূপ ভাবে গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে এই খাতে অন্তত ৫ বছর ভর্তুকি বহাল রাখা উচিত। কারণ গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি থেকে শুরু করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয়, সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার ব্যয় বাড়বে। সব মিলিয়ে দেশের চলমান উন্নয়নের গতি স্থবির হয়ে পড়বে এবং দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
তাই উন্নয়নের গতিধারা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গ্যাস উত্তোলন করে ও সরবরাহ ব্যবস্থা ত্রুটিহীন রেখে এর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা প্রয়োজন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ