মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কেবল গঙ্গা-তিস্তা নয়, সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার সুরাহা করা জরুরি

বামে : বাংলাদেশের তিনদিকজুড়ে ভারতের নদীকেন্দ্রিক প্রকল্প চিহ্নিত ম্যাপ ও ডানে : তিস্তাকে কেন্দ্র করে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রকল্প চিহ্নিত ম্যাপ -ওয়েবসাইট থেকে নেয়া

সরদার আবদুর রহমান: আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের তরফ থেকে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়কে মূল ইস্যু হিসেবে উপস্থাপনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানকার বিশেষজ্ঞমহল শুধু তিস্তা নয়, সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার সুরাহা করার উপর গুরুত্বারোপ করছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার ন্যায়সঙ্গত পাওনা অগ্রাধিকার পাবে বলেও প্রত্যাশা করছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু সকল অভিন্ন নদীর পানিই বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য প্রয়োজন। ফলে পানির নায্য হিস্যার আলোচনা সেই ভিত্তিতেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই সঙ্গে তারা প্রস্তুত তিস্তা চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন, তিস্তা নদীর যে পানি বণ্টনের জন্যে ধরে নেয়া হয়েছে, সেটা গজলডোবা থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পানির হিসাব। কিন্তু তারও উজানে গঙ্গা করিডোরে বাঁধের মাধ্যমে ভারত যে পানি সরিয়ে নিচ্ছে তার হিসেব ধরা হচ্ছে না। অথচ সবটা প্রবাহ বিবেচনায় এনে পানি বণ্টন হওয়া প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিস্তার পানির প্রবাহের হিসাব কীসের ভিত্তিতে হবে- সে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি এ ব্যাপারে গজলডোবা বাঁধের উজানে, আরও উজানে সিকিমের পানির হিসাবের দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হয়ে থাকে।

প্রতিটি নদীতেই বাঁধ

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রবাহিত কমপক্ষে ৫৪টি নদী ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এসেছে। এগুলোই বাংলাদেশ-ভারতের অভিন্ন নদী হিসেবে অভিহিত। উৎস ভারতে অবস্থিত। এর প্রায় প্রত্যেকটিতেই ভারত বাঁধ নির্মাণ করেছে এবং তাদের অংশে এসব নদী-উপত্যকায় সেচ প্রকল্প বা বিদ্যুৎ প্রকল্প করেছে। এর ফলে এসব নদীর পানি প্রবাহ বাংলাদেশ অংশে খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। এসব নদী হলো- রায় মঙ্গল, ইছামতি-কালিন্দী, বেতনা-কোদালিয়া, ভৈরব-কপোতাক্ষ, মাথাভাঙ্গা, গঙ্গা, পাগলা, আত্রাই, পুনর্ভবা, তেতুলিয়া, টাঙ্গন, কুলিক, নাগর, মহানন্দা, ডাহুক, করতোয়া, তালমা, ঘোড়ামারা, দেওনাই-যমুনেশ্বরী, বুড়ি তিস্তা, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, জিনজিরাম, চিলাখালি, ভোগাই, নিতাই, সোমেশ্বরী, যদুকাটা, ধামালিয়া, নোয়াগঞ্জ, ইউসিয়াম, ধলা, পিয়ান, সারিগোয়াইন, সুরমা, কুশিয়ারা, সোনাই বড়দাল, জুরি, মনু, ধলাই, লংগলা, খোয়াই, সুতাং, সোনাই, হাওড়া, বিজনী, সালদা, গোমতি, ফেনী-ডাকাতিয়া, সেলুনিয়া, মুহুরী ও ফেনী। এসব নদীর মধ্যে ভারত কর্র্তৃক নির্মিত বৃহদাকার প্রকল্পের মধ্যে আছে- গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধ, মহানন্দায় মহানন্দা বাঁধ, তিস্তা নদীতে তিস্তা বাঁধ, মনু নদীতে মনু বাঁধ, খোয়াই নদীতে খোয়াই বাঁধ, গোমতি নদীতে মহারাণী বাঁধ, মুহুরী নদীতে কালনি বাঁধ, বরাক নদীতে টিপাইমুখ বাঁধ প্রভৃতি। দেখা যায়, ভারত পদ্মা-যমুনা বেসিনে যে অসংখ্য মূল সেচ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে এবং করছে তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের শত শত নদী ও খাল-বিল পর্যায়ক্রমে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এমনকি মেঘনা ও তার শাখাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকা ছাড়া বাকি বৃহত্তর রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০টি জেলার ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রায় ৭ কোটি অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক লোকই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে এ যাবৎ ফারাক্কা, তিস্তা ও টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনা হলেও সামগ্রিক প্রকল্পগুলো সম্পর্কে তেমন আলোচনা হচ্ছে না।

ব্রহ্মপুত্রকেন্দ্রিক ১৯ প্রকল্প

শুধু টিপাইমুখ বাঁধের মতো ভারত ব্রহ্মপুত্র নদীকে কেন্দ্র করে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এসব বাঁধ-প্রকল্প পূর্ব ভারতের ব্রহ্মপুত্রকেন্দ্রিক রাজ্যগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচ সুবিধা বৃদ্ধি করবে। তবে এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের বেলায় বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ ভূমিতে ব্যাপক ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি আমলে নেয়া হয়নি। এই প্রকল্পগুলোর ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পুরো অববাহিকা মরুভূমিতে পরিণত হবে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা এই ৫টি জেলার কৃষি, সেচ, মৎস্য ও নৌযোগাযোগসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ হবে বিপর্যস্ত। ফারাক্কার পর এটি হবে বাংলাদেশের জন্য আরেক ভয়াবহ বিপর্যয়। ফারাক্কা বাঁধ চালুর পরপরই ভারত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করে। ভারতের মণিপুর রাজ্যের চুরাচানপুর স্থানটি চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয় ১৯৭৪ সালে। ভারতের নর্থ-ইস্টার্ন ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড এই প্রকল্প শুরু করে। অন্যদিকে ভারত ইতোমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীকে ঘিরে ১৯টি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে ৬টি, বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ৩টি এবং পরিকল্পনাধীন রয়েছে আরো ১০টি। ভারতের নর্থ-ইস্টার্র্ন ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের এক তথ্যে প্রকাশ, এ প্রতিষ্ঠানটি ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পর টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা দিয়েছিল। সে সূত্র ধরে ব্রহ্মপুত্র নদীকে ঘিরে গড়ে তোলা হয় ঐ সকল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তা বিভিন্ন কায়দায় বহু আগে থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চলের যমুনা, পদ্মা, করতোয়া, তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ এখনই অনেকাংশে কমে গেছে। আর নদীর বুক ভরাট হয়ে বালি পড়েছে। চরের সৃষ্টি হচ্ছে এবং পানির স্তর নেমে যাচ্ছে।

তিস্তার উপর প্রকল্পের পর প্রকল্প

বাংলাদেশে তিস্তাকে কেন্দ্র করে এ যাবৎ শুধু গজলডোবা বাঁধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এর উজানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম পর্যন্ত বহুসংখ্যক ড্যাম নির্মাণ করে পানি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফলে গজলডোবা পর্যন্ত পানি পৌঁছাতেই পারছে না। উল্লেখ্য, তিস্তা নদী হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে সিকিম এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশের যমুনা নদীতে এসে পৌঁছেছে। একটি ভিডিওচিত্রের বিবরণ থেকে জানা যায়, ভারত তিস্তার গতিপথে প্রথম যে ড্যামটি নির্মাণ করার চেষ্টা করছে সেটা হচ্ছে ‘চুংথান্ড ড্যাম’। ড্যামটি তৈরির জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি করে তিস্তা নদীর পানিকে সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত করে। তিস্তা নদীর মূল প্রবাহ এখানে থাকার কথা নেই। সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে পানি সরিয়ে দিয়ে ড্যাম তৈরি করা হচ্ছে। এর পরবর্তী ড্যামটি ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে সেটি হচ্ছে ‘টিনটেক ড্যাম’। ড্যামটি তৈরি হয়ে গেছে এবং ড্যামটি কার্যকর করে এর মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে। এর পরবর্তী ড্যামটি হচ্ছে ‘সেরওয়ানি ড্যাম’। এখানেও পানি আটকিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে এবং পরে পানি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এর পরবর্তী যে ড্যামটি সেটি হচ্ছে দক্ষিণের ‘রিয়াং ড্যাম’। ড্যামটি তৈরি হয়ে গেছে এবং পানি এখানে আটকিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হচ্ছে। এর পরের ড্যামটি হচ্ছে ‘কালিঝোরা ড্যাম’। এ ড্যামটি তৈরি হয়ে গেছে। তবে এটি এখনো কার্যকর করা হয়নি। ড্যাম তৈরি করার সময় তিস্তার প্রবাহকে পাশ দিয়ে প্রবাহিত করা হয়েছিল। এখন ড্যামটি তৈরি হওয়ার পরে এ মূলধারা দিয়ে চলে আসছে। এরপরে তিস্তা নদীতে ভারত ‘গজলডোবা ব্যারেজ’ নির্মাণ করেছে। গজলডোবা ব্যারেজ এটা দিয়ে পানি আটকিয়ে দেয়া হয়েছে এবং ব্যারেজের দক্ষিণ দিকে চর পড়ে গেছে। মানে, পানি প্রবাহ নেই আর ব্যারেজের উত্তরে পানি প্রবাহ আছে এবং সেই পানি সংযোগ প্রকল্প সেই প্রকল্প দিয়ে পানি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সংযোগ খাল দিয়ে পানি সরিয়ে পশ্চিম দিকে এখানে বাংলাদেশের সীমান্ত পঞ্চগড়ের উত্তরাংশে। ভিডিওচিত্রের বিবরণীতে বলা হয়, এখানে মহানন্দা নদীর উপর ‘মহানন্দা ব্যারেজ’- ভারতের এই মহানন্দা ব্যারেজের দক্ষিণ দিকে চর পড়ে গেছে। এখানে পানি প্রবাহ নেই এখান দিয়ে সরিয়ে সংযোগ খাল দিয়ে আরো সরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ এবং চাষবাসের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক নদী থেকে এভাবে পানি সরিয়ে নেয়া মোটেও ঠিক নয়। যে কোন নদীকে এভাবে বাধা দেয়া ঠিক নয়। তাতে পরিবেশ বিপর্যয় হয়। ফলে বাংলাদেশে যেটা হয়েছে যে উত্তরবঙ্গের কৃষি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যে আরো দেখা যায়, এছাড়াও তিস্তাকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি ক্যানেল প্রকল্প করা হয়েছে, যেগুলো দিয়ে নিয়মিত পানি প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে তিস্তা-মহানন্দা লিংক ক্যানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬ কিলোমিটার। এই ক্যানেলের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। এর বিতরণ খালের সংখ্যা ১০টি। মহানন্দা প্রধান ক্যানেলের দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটারের বেশি। এই ক্যানেলের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। এর বিতরণ খালের সংখ্যা ১৩টি। ডাউক নগর প্রধান ক্যানেলের দৈর্ঘ্য ৮০ কিলোমিটারের বেশি। এই ক্যানেলের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। এর বিতরণ খালের সংখ্যা ১৮টি। নাগর টাঙন প্রধান খালের দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটারের বেশি। এর মাধ্যমে বছরে ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। এর বিতরণ খালের সংখ্যা ৮টি। তিস্তা-জলঢাকা প্রধান ক্যানেলের দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটারের বেশি। এর মাধ্যমে ৫৮ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। এর বিতরণ খালের সংখ্যা ৬টি।

তিস্তার পানির ব্যাপক প্রত্যাহারের পর এই অবস্থায় বাংলাদেশ কী পরিমাণ পানি পেতে পারে তা সহজেই অনুমেয় উল্লেখ করে নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, একদিকে সিকিমে ব্যাপকভাবে পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে অবশিষ্ট পানি প্রত্যাহার করে সেচের কাজে লাগানো হচ্ছে। এখন কেবল অনিশ্চিত পরিমাণ বৃষ্টির পানিই ভরসা। যা কোনো প্রকার বণ্টন প্রক্রিয়ার আওতায় আসার কোনো মানে নেই। ফলে এ নিয়ে কোনো দেনদরবার হবে একটা বাহুল্য প্রক্রিয়ামাত্র। এই সঙ্গে মাহবুব সিদ্দিকী মনে করেন, সামগ্রিকভাবে ফারাক্কা, তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ একটা ‘প্যাকেজ ডিলে’র আওতায় নিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্য দাবি করা যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

অভিজ্ঞ মহল বলছেন, ভারতের জন্য এমন সবকিছুই ভারত আদায় করে নিচ্ছে, সৎ প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিবেশীর সব দাবিই মেনে নিচ্ছি। তার পাশে বাংলাদেশের দাবি আদায় হবে না কেন? সীমান্তে আমাদের লোকেরা অহরহ নিহত ও কিডন্যাপ হওয়া, ভারতের সাথে অসম বাণিজ্য, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াসহ অবিশ্বাস, একতরফা ধরনের নানা অভিযোগ ও কর্মকাণ্ড, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান উভয় দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস তৈরির জন্যই প্রয়োজন। প্রতিরক্ষা চুক্তি ও করিডোর দেয়ার মতো বিষয় এর পরের এজেন্ডায় আসতে পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ