বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খেলাপি ঋণ কমাতে কেন্দ্র্রীয় ব্যাংকের নতুন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নির্দেশনা জারি

স্টাফ রিপোর্টার: খেলাপি ঋণ কমাতে নতুন করে ‘রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ’ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নির্দেশনার আওতায় এখন থেকে ঋণ গ্রহীতার সক্ষমতা ছাড়াও বিতরণকৃত অর্থের সঠিক ব্যবস্থাপনা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি দেখভাল করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। যদিও আগে এই একই ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল কিন্তু তারপরে কেন বেশি হারে ঋণ খেলাপি হচ্ছে তার কারণ অনুসন্ধান করতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ঋণ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। 

নির্দেশনার শর্তগুলোতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোকে পরিপালনের জন্য নতুনভাবে সংশোধিত ‘ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন্স’ জারি করা হয়। ওই গাইডলাইন্সের ১.৫ (ওওও) অনুচ্ছেদে ব্যাংকগুলোকে সামগ্রিক ঋণ ঝুঁকি বিবেচনায় পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে ঋণ নীতিমালা (ক্রেডিট পলিসি) প্রণয়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

ব্যাংকগুলোর প্রণীত নির্দেশনায় যে ১৯টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- গ্রাহক সঠিকভাবে ঋণ ব্যবহার করছেন কিনা তা ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের ঋণের টাকা খরচ করছে কিনা তা দেখার জন্য একটি মেকানিজম প্রন্তুত করতে হবে। গ্রাহক এবং ঋণের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। 

ঋণ বিতরণের সময় গ্রাহকের ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্য বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে হবে। গ্রাহক দাখিলকৃত প্রকল্পে ঋণ ব্যবহার করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য একটি কৌশল ঠিক করতে হবে। ওই কৌশলের মধ্যে প্রকল্পের খরচের হিসাব সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। প্রণীত কৌশল সম্পর্কে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে এবং গ্রাহক যেন নিজেই কৌশলের শর্তগুলো পরিপালন করে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

অন্য একটি সূত্র জানায়, বড় অংকের ঋণ খেলাপি হওয়ার পর প্রায়ই দেখা যায় ঋণ পুনর্গঠনের নামে বড় ধরনের অনিয়ম হয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যাংক ঋণ পুনর্গঠন করতে পারে না।

এ বিষয়ে ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন দেশের সব তফসিলী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। তারপর থেকে ঋণ পুনর্গঠনের জন্য ওই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা মেনে চলছে ব্যাংকগুলো।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, সরকারি কোনো ব্যাংক ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন করলে আমরা সেটি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট নিয়ে পুনর্গঠনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে যে কোনো ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন বাতিল করতে পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ