শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ব্যাংক ডাকাতিই কি লক্ষ্য ছিল প্রমাণ লোপাট করতে হত্যাকাণ্ড?

রাজশাহী অফিস : রাজশাহী মহানগরীর গণকপাড়ার আল হাসিব প্লাজার প্রথম তলায় রয়েছে মার্কেট। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে উত্তরা ব্যাংকের সাহেব বাজার শাখা। তৃতীয় তলায় একই ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়। আর চতুর্থ তলায় ওই আবাসিক হোটেল। পঞ্চম তলায় ভবন মালিক হাসিবুল ইসলাম মানিক পরিবার নিয়ে থাকেন। তবে কি একই ভবনে থাকা ব্যাংক ডাকাতির জন্যই ওই হোটেলে উঠেছিল দুর্বৃত্তদের কেউ? যার এমন কোনো কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় প্রমাণ লোপাট করতে হত্যা করা হয় হোটেল বয় সিরাজুল ইসলামকে।
এই ঘটনাটি নিয়ে দিনভর নাড়াচাড়া করার পর এখন এমন প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। হতে পারে এই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসতে পারে সিরাজুল হত্যাকারীদের পরিচয়। সিরাজুলের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার ‘ক্লু’ উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদে এই বিষয়টিই আপাতত সামনে এসেছে পুলিশের। তাই বর্তমানে এই দিকটাই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের সূত্র মতে, গণকপাড়ার ওই আবাসিক হোটেল বয় সিরাজুলকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। হোটেলের ওই কক্ষ থেকে রক্তমাখা ধারালো একটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আঙ্গুলের ছাপ শনাক্তের জন্য তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তালা উদ্ধার করা হয়েছে। তালাগুলো মেশিন দিয়ে কাটা। তবে এর ধরণ দেখে অনুমান করা যায় হোটেলে নয়, নিচতলার ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনাই ছিল দুর্বৃত্তদর। হয়তো হোটেলের তালা কাটার বিষয়টি দেখে ফৈলায় ওই কর্মচারীকে হত্যা করা হয়। এর পর দুর্বৃত্তরা আর ব্যাংক ডাকাতির ঝুঁকি না নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এটি এখনো ধারণামাত্র। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাবে না বলে জানান পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল বয় সাজু ও ম্যানেজার রিপন চৌধুরীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ জানায়, গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী পরিচয়ে একজন ব্যক্তি হোটেল আল হাসিবের ৪০৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন। হোটেলের রেজিস্টারে তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলে উল্লেখ ছিলো।
তবে ঘটনার পর হোটেল রেজিস্টার বইয়ের ওই পাতাটি ছেঁড়া পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নাম-পরিচয় ও ঠিকানা গোপন করতেই যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা পাতাটি ছিড়ে নিয়ে গেছে।  বর্তমানে পিবিআই, সিআইডি ও বোয়ালিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে এই ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা যাবে বলে পুলিশ জানায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ