শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বাড়তি শুল্ক কর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাজেট ও ভোক্তা স্বার্থ’ শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটকে ভোক্তাবান্ধব করার দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাট ও শুল্কমুক্ত রাখার দাবি জানায় সংগঠনটি।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘বাজেট ও ভোক্তা স্বার্থ’ শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব দাবি জানান ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়াসহ সংগঠনটির নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
 গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা সাধারণ দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক গোষ্ঠী। তাদের ব্যয়ের গতিপ্রকৃতি বস্তুত অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভোক্তাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। কারণ ভোক্তার চাহিদার সঙ্গে পণ্য উৎপাদন এবং আমদানি-রপ্তানির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। একই সাথে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,আয়ের সুষম বণ্টন ও বৈষম্য হ্রাাস,দারিদ্র্য বিমোচন,দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষা,ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করে উচ্চহারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন বাজেটের মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে গোলাম রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির উপর আরোপিত শুল্ক করের হার এক বছরের জন্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আশা করি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটেও সাধারণ ভোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে বাড়তি শুল্ক কর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।
এনবিআরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাজস্ব বোর্ডকে করদাতা বৃদ্ধির উদ্যোগকে আরও বেগবান করতে হবে। ভোক্তার স্বার্থে করারোপযোগ্য আয়ের সীমা নূন্যতম তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করা উচিত।
এ সময় আগামী বাজেটে বেশকিছু দাবি জানানো হয় ক্যাবের পক্ষ থেকে,এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টিকারী তামাকজাত পণ্যসহ এমন সব পণ্যে বর্ধিতহারে করারোপ করা,গ্যাসের মূল্য সহনশীল রাখার লক্ষ্যে দেশী-বিদেশী কোম্পানি গুলোকে উৎপাদিত এবং আমদানিকৃত গ্যাস ও এলপিজির মূল্য সব প্রকার শুল্ক ও করমুক্ত রাখা, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও ক্রমান্বয়ে দাম কমানো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার আহ্বান জানিয়ে ক্যাব সভাপতি বলেন, মোটা চাল,আটা, ভোজ্যতেল,চিনি,গুঁড়োদুধ,আলু, লবণ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক বিভাগ বা ভোক্তাস্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে নতুন একটি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ