শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পদ্মা অয়েলের ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামে দুদকের দুটি মামলা

 

চট্টগ্রাম অফিস : পদ্মা অয়েল লিমিটেডের দুটি উন্নয়ন কাজের প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীর্তি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা দায়ের করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৮ ও ৯। এ দুই মামলায় আসামী হিসেবে আছেন পদ্মার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল খায়ের। তিনি বর্তমানে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।দুটি মামলায় পদ্মা অয়েলের আরও চার কর্মকর্তাসহ পৃথকভাবে আসামী হিসেবে আছেন আরও ছয়জন।

দুদকের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বলেন, পদ্মা অয়েলের এমডি থাকাকালে আবুল খায়েরসহ অপরাপর আসামীরা পরস্পরের যোগসাজশে কাজ কম করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। গত বছর এই দুটি উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শেষে সত্যতা এবং তথ্যপ্রমাণ পেয়ে দুদকের অনুমোদনপূর্বক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিরাজুল হক সাংবাদীকদের জানান, হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানে জ্বালানি নেয়ার জন্য হাইড্রেন্ট লাইন নির্মাণে শিডিউল মোতাবেক কাজ না করে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে হওয়া এই উন্নয়ন কাজ থেকে টাকা আত্মসাতের মামলায় তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। এরা হলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স অয়েল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের এমডি মো.ফাহিম জামান পাঠান, প্রকল্প পরিচালক পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা মো.আলী হোসেন এবং এমডি আবুল খায়েরকে।

২০১৬ সালে খুলনার দৌলতপুরে পদ্মা অয়েলের একটি ভবন নির্মাণে শিডিউল মোতাবেক কাজ না করে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে পাঁচজনকে। আসামীরা হলেন, পদ্মা অয়েলের এমডি আবুল খায়ের, প্রকল্প পরিচালক মো.নূরুল আমিন, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী কে এম আব্দুর রহিম ও প্রকৌশলী সালেকী আহমেদ আইনুল আব্বাসী এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোহাম্মদ ইউনূস এন্ড কোম্পানির এমডি আনিসুর রহমান।উভয় মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ