বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

শান্তিময় পৃথিবীর জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতির বিকল্প নেই

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাব মিলনায়তনে সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভার উদ্যোগে সম্প্রীতি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সভার চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আবদুর রউফ -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভার ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, একটি শান্তিময় পৃথিবীর জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমেই পৃথিবীর সকল প্রকার জুলম-নির্যাতন বন্ধ করা যায়। তাই জুলম-নির্যাতন বন্ধে ধর্মীয় সম্প্রীতির সুদৃঢ় ঐক্য গড়তে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাব লি. মিলনায়তনে সংগঠনটির সম্প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, জাতীয় সংগীত ও থিম সং পরিবেশন করা হয়।
সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভার চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশস্থ ফিলিস্তিনের হেড অব মিশন মি. ইউসুফ রামাদান, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, বাংলাদেশ বৌদ্ধকৃষ্টি প্রচার সংঘ-এর সভাপতি ও ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ মহাসংঘ নায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন-এর সহকারী সেক্রেটারি স্বামী গুরু শেবানন্দ, ওয়াল্ড কাউন্সিল অব চার্চ ইন্টারফেইথ ডায়লগ এর সদস্য রেভারেন্ট মার্টিন অধিকারী, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস এর বাংলাদেশ অফিসের ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন মি. বরিস কেলেসেবিস, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজজ্জামান।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুকোমল বড়–য়া, সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরী, ড. ফাদার তপন ডি রোজারিও, জেনারেল সেক্রেটারি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শরীফ বায়জীদ মাহমুদ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মীয় পন্ডিত ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, লেখক বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং বিভাগীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশ বাংলাদেশ। এ দেশে সকল ধর্মের মধ্যে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক বন্ধনে থেকে সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই। তার জন্য প্রত্যেকের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
তারা বলেন, একটি শান্তিময় পৃথিবীর জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমেই পৃথিবীর সকল প্রকার জুলম-নির্যাতন বন্ধ করা যায়। তাই জুলম-নির্যাতন বন্ধে ধর্মীয় সম্প্রীতির সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলি।
বক্তারা আরো বলেন, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ কোনো ধর্মই অন্যায়কে ন্যায় বলে না। এক ধর্ম অন্য ধর্মকে আঘাত করুক এই শিক্ষা কোনো ধর্ম নয়। তাই আসুন আমরা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। ধর্মীয় সংলাপ বৃদ্ধি করি। পরস্পর আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করি। যদি তা পারি তাহলে আগামী প্রজন্ম শান্তিময় সমাজে বসবাস করতে পারবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ