ঝিনাইগাতীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট॥ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা: শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২২ প্রধান শিক্ষক ও ১০ সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই। আবার একই সাথে বেশির ভাগ নতুন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের পাঠদানে অদক্ষতার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাবৃদ্ধি হচ্ছে না। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ভালো শিক্ষক শূন্য এসব বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। আবার বেশকিছু বিদ্যালয়ে ২ জন করে শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে কাজ চালানো হচ্ছে। ফলে একদিকে দাপ্তরিক কাজ এবং অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। আবার যেসব বিদ্যালয়ে মাত্র ২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন সেসব বিদ্যালয়ে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তিনি দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক শূন্যতার কারণে অতিরিক্ত ক্লাসের চাপ ও শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষকরা চাইলেও পাঠদানে মনোযোগী হতে পারেন না। ক্লাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী কিছুই শিখতে পারছে না। এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার গতি ফিরিয়ে আনতে অনতিবিলম্বে শূন্যপদগুলো পূরণের দাবী জানান তারা। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ জানান, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকের পদশূন্য থাকায় শ্রেণিতে পাঠদানে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাদের বাড়তি ক্লাস নিতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক শূন্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলে হলো, গাজনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গান্ধীগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুপুরীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানশাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুচনীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলহাড়ু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালুকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাংটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাকরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলদিগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গজারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালাকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলাশপুর সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়, বাকাকুড়া বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঐবাধা সরকারী প্রথামকি বিদ্যালয়, বালিয়াচ-ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাংটিয়া আদর্শগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধানশাইল বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুসাইকুড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওকুচি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ দাড়িয়ারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গিলাগাছা সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়, জগৎপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি খাটুয়াপাড়া, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নতুন সরকারী করণে প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিম গরুচরণদুধনই, পূর্ব কাংশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবাণীখিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আয়নাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব তাওয়াকুচা সীমান্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু বক্করের সাথে কথা হলে তিনি শিক্ষক শূন্যতার কথা স্বীকার করেন।