বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কালের কথা

মাখরাজ খান

 

নূতন বৎসর

-মাইকেল মধুসূদন দত্ত

 

ভুত-রূপ সিন্ধু জলে গড়ায়ে পড়িল

বৎসর, কালের ঢেউ ঢেউর গমনে।

নিত্যগামী রথচক্র নীরবে ঘুরিল

আবার আয়ুর পথে। হৃদয় কাননে,

কত শত আশালতা শুখায়ে মরিল

হায় রে, কব তা কারে, কব তা কেমনে!

কি সাহসে আবার বা রোপিব যতনে

সে বীজ, যে বীজ ভুতে বিফল হইল।

বাড়িতে লাগিল বেলা ডুবিযে সত্বরে

তিমিরে জীবন রবি। আসিছে রজনী,

নাহি যার মুখে কথা বায়ু রূপ স্বরে;

নাহি যার কেশ পাশে তারা রূপ মনি;

চির রুদ্ধ দ্বার যার নাহি মুক্ত করে

উষা,- তপনের দুতী, অরুন রমনী।

 

নব বর্ষ এলেই আমরা ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকার পাতার দিকে তাকিয়ে বলি আরো একটি বছর চলে গেল।

পৃথিবীর তাবৎ বস্তুর সাথে আমরাও আমাদের হায়াতের খাতা থেকে একটি বছর হারিয়ে ফেললাম। এই যে বছর গণনার হিসাব এটা আমরা করি, পঞ্জিকার সাহায্যে।

সংস্কৃত ভাসায় পঞ্জিকাকে বলা হয় পঞ্চাঙ্গ। বার, নক্ষ, তিথি, যোগ ও করণ এই পঞ্চ অঙ্গ বিশিষ্ট বলেই একে পঞ্চাঙ্গ বলা হয়। পঞ্চাঙ্গ কালের হিসাব ছাড়া আর কিছুই নয়। সাধারণ অর্থে আমরা যাকে সময় বলে থাকি। এই সময় বা কাল গণনার সাথে স্বাভাবিকভাবেই ঘড়ির কথা এসে যায়। যান্ত্রিক ঘড়ি আবিষ্কারের পূর্বেও কিন্তু মানুষ ঘড়ি ব্যবহার করতো। এই ঘড়ির ইতিহাস যেমন দীর্ঘ তেমনি চমকপ্রদ। ইতিহাস ঘাটলে প্রথম আমরা যে ঘড়ির কথা জানতে পারি তা হলো সূর্য ঘড়ি- সবচেয়ে প্রাচীন সূর্য ঘড়ির উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রি. পূর্ব ৭০০ অব্দে। বাইবেলে একজন নবী জাহাজে সূর্য ঘড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। ঘড়ির ইতিহাসে দেখা যায়, তৎকালীন মিসরীয়রা পিরামিডকে সূর্য ঘড়ি রূপে ব্যবহার করতো। পিরামিডের ছায়া দেখে সময় হিসাব করার পদ্ধতি মিসরীয়দের জানা ছিল।

এরপর চীনাদের জল ঘড়ির কথা মনে করতে হয়। কোনো কোনো প-িত মনে করেন, চীনাদের জল ঘড়ি সূর্য ঘড়ির চেয়েও প্রাচীন। তারা এই ঘড়ি ৫ হাজার বছর পূর্বে সময় পরিমাপের জন্য ব্যবহার করতো বলে অভিমত দিয়ে থাকেন।

ইউরোপীয়রা যে বালি ঘড়ি ব্যবহার করতো, তার আবিষ্কারক ছিলেন লিউপ্রান্ত নামে এক কার্থেজীয় সন্ত্রাসী, এটা খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর ঘটনা। ইংল্যান্ডে আগুন এবং মোমের ঘড়ি ব্যবহার হতো। রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট মোমের ঘড়ি ব্যবহার করে ধর্ম কাজ, রাজ্য পরিচালনার কাজ এবং আমোদ প্রমোদের হিসাব রাখতেন।

এরপর বহু চড়াই-উৎরাই করে আধুনিক ঘড়ি আবিষ্কার হয়েছে। এখন মানুষ ঘড়িকে চালায় না ঘড়ি মানুষকে চালায় বোঝা মুস্কিল।

ঘড়ি মানুষকে চালাক আর মানুষ ঘড়িকে চালাক, এটা বড় কথা নয়, ঘড়ি কিন্তু টিকটিক করে সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য আমাদের বলে দিচ্ছে। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককালে বিবর্তন হয়ে ঘড়ি আমাদের যেভাবে সময়ের চুলচেরা হিসাব করে দিচ্ছে, এর আগে কি মানুষ সময় সম্পর্কে উদাসীন ছিল? অবশ্যই না, ঘড়ি আবিষ্কারের পূর্বে মানুষের সময় পরিমাপের অবলম্বন ছিল সূর্য ও চাঁদ। এ সম্পর্কে আরব জাতির ইতিহাস চর্চা গ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ্্ পৃথিবীর ছাদে রাত্রি ও দিনের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য, দুটি আলোক সৃষ্টির জন্য আদেশ করেছিলেন। যেন উপরোক্ত এই দুটি বস্তু, দিন এবং বছর গণনার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে, দুটি আলোক সৃষ্টি হয়েছিল এর মধ্যে বড় আলোকটি ছিল দিনের স¤্রাট বা সূর্য এবং ছোট আলোকটি ছিল রাতের স¤্রাট বা চাঁদ। 

প্রাচীন সভ্য মানুষ সূর্য এবং চন্দ্রের সাহায্যে সময়ের হিসাব করতো, তারা দিবাভাগকে চারটি খাম বা প্রহরে ভাগ করে রাত্রিকেও অনুরূপভাবে ভাগ করতো, এভাবে অষ্টপ্রহর বা খামে দিবা-রাত্রি মিলিয়ে হতো চব্বিশ ঘণ্টা। এটাকে বলা হতো অহোরাত্র।

অহোরাত্র শব্দটি অবশ্য বর্তমান পঞ্জিকার মধ্যেও দেখা যায়, প্রাচীন গ্রন্থগুলোতে অহোরাত্রের একেক গ্রন্থে একেক রকম দেয়া হয়েছে। ভারতীয় জ্যোতিষীরা অহোরাত্রকে ৬০ ভাগে ভাগ করে, প্রত্যেক ভাগের নাম দিয়েছিল ঘড়ি। 

কাশ্মীরের উৎপলকৃত শ্রুধর গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ‘একটি কাষ্ঠখ-ের মধ্যে যদি বার আঙ্গুলি ব্যাস এবং চার আঙ্গুলি দৈর্ঘ্যযুক্ত একটি গোলাকার ছিদ্র করা যায়, তাহলে তাতে চার মণ জল ধরবে। এই কূপ সদৃশ ছিদ্রের তলদেশে বৃদ্ধা ও বালিকা নয়, এমন যুবতী রমণীর ছয়টি বিলুনি করা কেশ পরিমিত ব্যাসের আরো একটি ছিদ্র করা হয়, তাহলে সেই ছিদ্র দিয়ে এক ঘড়িকালে এই তিন মণ জল বেরিয়ে যাবে।’

শ্রুধর তার গ্রন্থে প্রত্যেকটি মিনিট এবং সেকেন্ডকে বিভক্ত করে দেখিয়েছেন। শ্রুধরের মতে, প্রতিটি মিনিটের ৬০ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে সেকেন্ড, আর সেকেন্ডের ৬ ভাগের প্রত্যেক ভাগের নাম প্রাণ। এই প্রাণ হলো নিঃশ্বাস। উপরোক্ত গ্রন্থে প্রাণের ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, প্রাণ হলো স্বাভাবিকভাবে নিদ্রিত সুস্থ লোকের নিঃশ্বাস। মূত্ররোগী, ক্ষুধার্ত বা যার পাকস্থলীভুক্ত দ্রব্যে পরিপূর্ণ এমন লোকের নিঃশ্বাস নয়।

নিঃশ্বাস বা প্রাণ নিয়ে চমকপ্রদ কথা বলেছেন পলিসÑÑÑÑতিনি বলেছেন, ঘড়িকে ৬০ ভাগ করে অথবা আকাশম-লের প্রত্যেক ডিগ্রিকে ৬০ ভাগে বিভক্ত করে আমরা একই ফল পাই। কারণ আকাশম-লের মিনিটের পূর্ণ সংখ্যা হচ্ছে ২১,৬০০ আর মানুষ অহোরাত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস ত্যাগ ও গ্রহণ করে ২১,৬০০ বার। মানুষ এভাবে যতক্ষণ নিঃশ্বাস গ্রহণ করে ততক্ষণে আকাশ ম-লেও এক মিনিট সরে যায়।

কোনো কোনো জ্যোতির্বিদ সেকেন্ড বা প্রাণের চেয়েও সূক্ষ্মতম হিসাব করেছেন, এদের মধ্যে শম্যি অন্যতম। তিনি প্রত্যেক প্রাণকে ৮ নিমেষ, প্রত্যেক নিমেষকে ৮ লব, প্রত্যেক লবকে ৮ তুতী এবং প্রত্যেক তুতীকে ৮ অণুতে বিভক্ত করেছেন।

মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে নক্ষত্রের যোগাযোগের কথা কল্পনা করেছেন ভারতীয় তান্ত্রিকরা। তন্ত্রশাস্ত্রের এক আলোচনায় দেখা যায়, ষটকর্ম করার আগে তত্ত্বের উদয়ের উপর জোর দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ষটকর্মের তত্ত্ব নিরূপণ অধ্যায়ে বলা হয়েছে শান্তি, বশীকরণ, স্তম্ভন, বিদ্বেষণ, উচ্চাটন ও মারন এই ছয় প্রকার ষটকর্ম করার সময় নিঃশ্বাসে কোন তত্ত্বের উদয় হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

যখন জলতত্ত্বের উদয় হবে তখন শান্তিকর্ম, যখন বহ্নিতত্ত্বের উদয় হবে তখন বশীকরণ যখন পৃথ্বিতত্ত্বের উদয় হবে তখন স্তম্ভন, যখন আকাশতত্বের উদয় হবে তখন বিদ্বেষণ, যখন বায়ুতত্ত্বের উদয় হবে তখন উচ্চাটন এবং বহ্নিতত্ত্বের উদয়ে আরন কার্য করতে হবে। 

এই সব তত্ত্বের বিচার করে, যখন যে কাজ করার বিধান রয়েছে, তখন সেই কাজ করা বিধেয়। ভূমিতত্ত্বের উদয় হলে নাসা পুটদ্বয় হতে দ-াকারে শ্বাস নির্গত হয়।

জলতত্ত্ব ও অগ্নিতত্ত্বে¡র উদয়কালে নাসার উপরিভাগ দিয়ে শ্বাস বহে। বায়ুতত্ত্বের উদয়কালে বক্রাকারে শ্বাস বের হয় এবং আকাশতত্ত্বের উদয়কালে নাসিকার মধ্যভাগ দিয়ে শ্বাস প্রবাহিত হয়। জ্যেষ্ঠা, উত্তরাষাঢ়া, মূলা, শতভিষা, পূর্বা ভাদ্রপদ এবং অশ্লেষা নক্ষত্রকে জলতত্ত্ব। স্বাতী, মৃগশিরা, আদ্রা, উত্তরফাল্গুনী, পূষ্যা ও পূর্বব্বাসু নক্ষত্রকে বহ্নিতত্ত্বের উদয়কাল হিসেবে গণ্য করে তান্ত্রিকেরা তাদের তন্ত্র সিদ্ধির কাজ করে থাকেন। 

প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রে মুহূর্তের উল্লেখ পাওয়া যায়, কিন্তু ঘন্টার উল্লেখ নেই। ঘন্টার হিসাব ৬০ মিনিটে এখন যেটা আমরা সময় হিসেব করার সময় বলে থাকি কিন্তু মুহূর্ত হিসাব করা হয় ৪৮ মিনিটে। এই মুহূর্তের হিসাবে দিবা ভাগ ১৫ মুহূর্ত এবং রাত্রি ভাগ ১৫ মুহূর্ত ধরা হতো। যদিও সব সময় রাত্রি এবং দিবা ভাগ সমান হয় না, কিন্তু প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষীরা দিবা এবং রাত্রিকে সমানভাগে ভাগ করে প্রতি মুহূর্তের অধিপতি নির্ধারণ করেছিলেন। দিন এবং রাতের অধিপতিদের সাজালে এ রকম হয়।

মুহূর্তের ক্রমিক     সংখ্যা দিবসের মুহূর্তের অধিপতি রাত্রির মুহূর্তের অধিপতি

১ শিব = মহাদেব রুদ্র-মহাদেব

২ ভূজঙ্গ = সর্প আজ = ক্ষুর বিশিষ্ট নায়ক

৩ মিত্র আহারা বুদনা

৪ পিতৃ পূষণ

৫ বসু দন্ত = অশ্বিনীর অধিপতি

৬ অপ = জল অন্তক = মৃত্যুদূত

৭ বিশ্ব অগ্নি

৮ বিরচিত = ব্রহ্ম ধাত্রী = জগতপালক ব্রহ্মা

৯ কেশব = মহাদেব সোল

১০ ইন্দ্রাগ্নি গুরু = বৃহস্পতি

১১ ইন্দ্ররাজ হরি = নারায়ণ

১২ নিশাকর = চন্দ্র রচি = সূর্য

১৩ বরুণ = শেখরাজ যম = মৃত্যুর দেবতা

১৪ আর্যমন তৃস্ত্রী  চিত্রাধিপতি

১৫ ভার্গেয় অনিল = বায়ু

সাধারণভাবে দিনের হিসাব হলো, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিন। যদিও ২৪ ঘণ্টায় একদিন ধরা হয়, এর মধ্যে রাত্রির সময়ও আছে। দিন থেকে সপ্তাহ, সপ্তাহ থেকে মাস গণনা শুরু হয়। ৭ দিনে সপ্তাহ ধরে সাত বারের নামের সঙ্গে ৭টি গ্রহের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে। 

এই গুলি হচ্ছে শনি, বৃহস্পতি, মঙ্গল, রবি, শুক্র, বুধ এবং সোম। এই গৃহগুলোর নাম অনুসারেই ৭টি দিনের নাম করণ করা হয়েছে। মাসের হিসাব এসেছে চন্দ্রের ঘূর্ণন হিসাব করে। চন্দ্রের পৃথিবী ঘুরে আসতে সাড়ে ২৯  দিন সময় লাগেÑ এটাকে চন্দ্রের সাইনডিম মাস বলে। বছর হিসাব ধরি আমরা পৃথিবীর সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসার সময়কে। সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘুরে আসতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা ৯ মি. ১০ সেকেন্ড। পৃথিবীর সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণনের ফলে ঋতু পরিবর্তন হয়, ঋতু পরিবর্তনের হিসাব, পৃথিবীর আহ্নিক গতি, ‘বার্ষিক গতির হিসাব, ইত্যাদি নামে যে হিসাবই করি না কেন, মূলত: এগুলি সময়ের হিসাব ছাড়া আর কিছুই নয়। এই পৃথিবীর উপর গ্রহ নক্ষত্রের নানা প্রভাব আমাদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের বার্তা নিয়ে হাজির হয়। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসে যায়Ñ যখন চন্দ্র, সূর্য গ্রহ নক্ষত্র কিছুই ছিলো না, তখনো কি সময় ছিলো? এ সম্পর্কে ইসলাম ধর্মের বাণী উদ্ধৃত করা যেতে পারেÑ সহী বোখারী শরীফে আবদুল্লাহ ইবনে ওমরের রেওয়াতে বলা হয়েছেÑ ‘আল্লাহ তালা সমগ্র সৃষ্টির তকদির আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে লিখে দিয়েছিলেনÑ (কোনো কোনো কিতাবে একই রেওয়াতে ৭০ হাজার বছর বলা হয়েছে।)

আরবি ভাষায় সময়কে বলা হয় দাহর। মহীউদ্দিন ইবনুল আরাবির মতে সময় আল্লাহর এক সুন্দর নাম কোরআন শরীফের তাফসিরে আল্লামা রাজি বলেছেন যে, মুসলমান, সূফি সাধকগণ তাকে দাহর, দাইহুর এবং দাইহার এই শব্দগুলো আবৃত্তি করতে শিখিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি একটি হাদিসের উল্লেখ করেছেনÑ হাদিসটি হলোÑ মহান আল্লাহ্ বলেছেন, মানব সন্তান সময়কে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয়, কেন না আমিই সময়। 

আদি পুস্তকে দেখা যায়Ñ ঈশ্বর মাটি, বাতাস, জল, বৃক্ষ মাছ সৃষ্টি করলেনÑ এভাবে ঈশ্বর ছয়দিন সৃষ্টি কাজে ব্যস্ত থাকার পর সপ্তম দিনে বিশ্রাম গ্রহণ করলেন... ইত্যাদি। 

গীতায় আছেÑ

‘তখন (মূলা রম্ভে) অসৎ ও দিলো না, সৎও ছিল না, অন্তরীক্ষ ছিল না এবং তাহার অতীত আকাশ ও ছিল না, কি (কাহাকে) আবরণ করিল? কোথায় কাহার সুখের জন্য? অগাধও গহীন জল কি তখন ছিল? তখন মৃত্যুও ছিল না, অমৃতত্ত্বও ছিল না। (চলবে)

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ