শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

একের পর এক ডাকাতের কবলে চুয়াডাঙ্গাবাসী

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিনিয়তই সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে জেলার কোথাও না কোথাও ডাকাতির সংবাদ। আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেই এই অপতৎপরতা যেন রোখা যাচ্ছেনা। যে সমস্ত ডাকাতির সংবাদ আসছে অধিকাংশই সন্ধ্যা রাতে। গত একমাসে অসংখ্য ডাকাতির অভিযোগ আসলেও অপরাধীরা সেভাবে ধরা পড়ছেনা।
এর মধ্যে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৫ স্থানে ডাকাতির সংবাদ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পোকামারীপাড়ার আব্দুল কাদেরের বাড়িতে বৃহ¯পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে ৫-৬ জনের মুখ বাঁধা সশস্ত্র ডাকাতদল দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। ডাকাতদল গৃহকর্ত্রী মোমেনা খাতুনকে নানা ভয়ভীতি ও বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকা পয়সা ও সোনার গয়না দাবি করে। কোনো কিছু নেই জানালে ডাকাতদলের সদস্যরা বিছানা, আসবাবপত্র ও ঘরে রক্ষিত বিভিন্ন মালামাল ওলট পালট করে নগদ ২৫ হাজার টাকা ১টি সোনার চেন, ১ জোড়া কানের দুল লুট করে। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে চিৎকার দিলে ডাকাতদল লুটকৃত মালামাল নিয়ে সটকে পড়ে। 
একই রাতে আন্দুলবাড়িয়ার ডুমুরিয়া গ্রামে কলা ব্যবসায়ী ছোট খোকার বাড়িতে গ্রিল কেটে চুরি সংঘটিত হয়েছে। বৃহ¯পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে সুযোগ বুঝে চোরচক্র ঘরের গেটের গ্রিল কেটে দুটি বাইসাইকেল ও দুটি মোবাইল চুরি করে নিয়ে গেছে।
একই রাতে জীবননগর উপজেলার নিভৃত পল্লি মারুফদহ ও খয়েরহুদা দু গ্রামের এক কৃষক ও এক গৃহিনীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জানাগেছে-মারুফদহ গ্রামের বাটিকাপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নবির হোসেনের বাড়িতে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ৬-৭ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল সশস্ত্র অবস্থায় ঢোকে। এসময় তারা নবিরকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে এবং ঘরের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা ডাকাতদলকে বাধা দেয়। এতে ডাকাত দলের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহকর্তাসহ স্ত্রী জামেলা খাতুন (৫৫) ও মেয়ে রেক্সনা খাতুনকে (২২) হেঁসো দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে ঘরে গচ্ছিত রাখা ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
একই সময় খয়েরহুদা গ্রামের মৃত কালাম গাজীর স্ত্রী রহিমা খাতুনের বাড়িতে ডাকাতদল হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা, দুই জোড়া কানের দুল ও মোবাইলফোন লুট করে।
রহিমা খাতুন জানান, আমার মেয়ে শিউলী ঢাকায় একটি চাকরি করে। সেখানে থেকে তিন দিন আগে বাড়ি ফেরে। ডাকাতদল বাড়িতে প্রবেশ করে আমার মেয়ের ৫০ হাজার টাকা, সোনার গয়না ও মোবাইলফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার ভাইয়ের ছেলে সাইফুলের সাথে ডাকাতদলের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় ডাকাতদল একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সাইফুল আহত হয়। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ