শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঝালকাঠি পৌর এলাকার খাল পুনঃখননের কাজ প্রায় সম্পন্ন

মোঃ আতিকুর রহমান, ঝালকাঠি: সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর মোহনায় ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ঝালকাঠি পৌরসভা। ঝালকাঠি পৌর শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে বাসন্ডা নদী। এ নদী গিয়ে মিশেছে বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে। বাসন্ডা নদীর সাতটি শাখাসহ মোট ২২টি খাল ঝালকাঠি শহর এবং এর আশপাশে জালের মতো ছড়িয়ে ছিল। বাসন্ডা নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে সাতটি শাখা খাল ঝালকাঠি শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এগুলো হলো পশ্চিম চাঁদকাঠি খাদ্যগুদাম-সংলগ্ন হয়ে উপজেলা পরিষদের পেছন পর্যন্ত গুদামের খাল, অতুল মাঝির খেয়াঘাট থেকে গাবখান নদী পর্যন্ত কিফাইতনগর খাল, বেদে পল্লী থেকে সংগ্রামনীল মন্দির পর্যন্ত সংগ্রামনীল খাল, খলিফাবাড়ী থেকে অন্ধ হুজুরের বাড়ি পর্যন্ত কুমারবাড়ি খাল, কায়েদ সাহেব হুজুরের বাড়ি থেকে মালেক মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত নেছারাবাদ খাল, বিকনা থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত বিকনা খাল ও বাসন্ডা থেকে নতুন স্টেডিয়াম পর্যন্ত উত্তর বিকনা খাল। শহরের প্রধান খালগুলো হলো বাঁশপট্টি খাল, থানার খাল, জেলে পাড়া খাল, গুরুধাম খাল ও সুতালড়ির খাল। প্রায় সব খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারাই যে যার সুবিধামতো ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ করছে। ঝালকাঠি পৌর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বাঁশপট্টি খাল, থানার খাল ও জেলেপাড়া খালের ১০টি শাখা প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিলো। সে খাল গুলো পুনঃখননের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ঝালকাঠি পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুজ্জামান স্বপন জানান, ঝালকাঠির খালগুলো দীর্ঘদিন অবহেলায় থাকার কারণে ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে গিয়েছিলো। বর্ষা মৌসুম এলেই শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। জলাবদ্ধতা নিরসনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়ের নির্দেশনাক্রমে পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে খাল পুনঃখনন ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম কয়েকমাস পূর্বে শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে শহরের বায়তুল মোকাররম চৌমাথা থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত, উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে ডাক্তার পট্টি হয়ে বাঁশপট্টি খাল, বাজার খাল, কসাইখানা, সিটি পার্ক খালগুলোর ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। বায়তুল মোকাররম চৌমাথা থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত ডিপ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকল খাল পুনঃ খনন ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কাজ শেষ করা হবে। ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, খাল পুনঃ খননের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শেষ হলে আর বর্ষা মৌসূমে জলাবদ্ধতা থাকবে না। তাহলেই পৌর শহরের অবস্থা সেই সুদিনের ন্যায় ফিরে আসবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ