শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে

স্টাফ রিপোর্টার : অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলে আশা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মনে করে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় যে শিক্ষা হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের সব কটি রাজনৈতিক দল পরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনকে অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক করতে সব কটি রাজনৈতিক পক্ষ নির্বাচনে যাবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু গতকাল সোমবার সকালে তাঁর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায় বা ইউরোপীয় সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিমূল ট্রিটি অব রোমের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মায়াদু বলেন, অন্তর্ভূক্তিমূলক গণতন্ত্রের অভাবে বিশ্বের যেকোনো স্থানে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশে এমনটা ঘটুক- আমরা অবশ্যই তা চাই না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান বিশ্বব্যাপী ইইউ’র এজেন্ডা।
হেফাজতে ইসলামের সাথে সরকারের ঘনিষ্ঠতা এবং জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে গঠিত জোটে যোগ দেয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখা যেতে পারে। কেননা তারা অন্তর্ভূক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস স্থাপন করছে। যদি সমাজের কোনো বিচ্ছিন্ন অংশকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়- তবে তা অবশ্যই ইতিবাচক। তিনি বলেন, সমাজের বিভিন্ন অংশ, যারা হয়ত আড়ালেই থাকত, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমি মনে করি ইতিবাচক।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশকে উৎসাহব্যঞ্জক হিসাবে আখ্যায়িত করেন মায়াদু। তিনি বলেন, ইইউ ও চীন কৌশলগত অংশীদার। রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনের উপায় খুঁজতে ইইউ তার ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মতামত জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর সর্বত্রই কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। এক প্রশ্নে মায়াদন বলেন, ইইউ অনেক নমনীয় একটি প্রতিষ্ঠান। ইইউ প্রতিষ্ঠার আগেও এ ধরনের বিতর্ক ছিল। আমরা এতে অভ্যস্ত, একে গ্রহণ করি এবং স্বাগত জানাই। ইইউর নীতি বাস্তবায়নের পথ পুনর্গঠনে এটি আমাদের সহায়তা করে। ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের একটি ইতিবাচক অর্জন হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার ফলে এখানে পোশাক শিল্প বেড়ে উঠেছে এবং কয়েক লাখ নারী দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
নিজের দেশ ফ্রান্সসহ অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এখানে আমরা কখনও বন্ধ দরজার মুখোমুখি হইনি। আমরা যখনই সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি..আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। বরং কথা বলার জন্য কাউকে না কাউকে পেয়েছি, যিনি সবসময় আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ