শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দীর্ঘ ১০ মাসেও ধরা পড়েনি হিলি’র প্রভাষক সুজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী

হিলি সংবাদদাতা: দিনাজপুরের হাকিমপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বোয়ালদাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সুজন হত্যার ১০ মাস অতিবাহিত হলেও খুনিদের আজও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ৬ আগষ্ট/১৬ তারিখে ক্লাবের পুকুর সংস্কার করার সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে খুন হয় সুজন। হত্যাকা-ের প্রধান আসামী রবিউল ইসলামকে আজও পলাতক রয়েছে।
এদিকে মামলা তুলে নিতে নিহতের পরিবারকে নান ভাবে ভয়ভিতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
জানাগেছে, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বৈগ্রাম এলাকার বৈগ্রাম যুক ক্লাবের একটি পুকুর নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসির সাথে শফিকুল ইসলাম ও এনামুল হক এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত বছরের ৬ আগষ্ট ঘটনার দিন ক্লাবের ওই পুকুরের কচুরি পানা পরিস্কারের কাজ দেখাশোনা করতে যাওয়ার সময় পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলাম ও তার ভাড়াকরা লোকজন লাঠিসোঠা নিয়ে সুজনের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।
তাদের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলে সুজনের মৃত্যু হয়। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গোটা গ্রাম জুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে হত্যাকরিরা পালিয়ে আত্মগোপন করে।
এঘটনায় পরের দিন সুজনের স্ত্রী মনিষা সরকার বাদি হয়ে থানায় ১৭জনকে আসামি করে হাকিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুজন হত্যা কারীদের ধরিয়ে দিলে তাকে পুরুস্কৃত করার ঘোষনাও দিয়েছেন হাকিমপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী যুবলীগ।
পরে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ জন আদালত থেকে জমিন নেয়।
এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ আসামীরা জামিনে এসে তাদের এবং মামলার সাক্ষীদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। অপরদিকে আসামীরা নিহতের পরিবার, সাক্ষি এবং গ্রামবাসির বিরুদ্ধে চুরি, ভাংচুরসহ মোট ৪টি মামলা আদালতে দায়ের করে। এতে স্বাক্ষীসহ নিহত সুজনের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ