যেভাবে লন্ডন হামলা সামাল দিল ‘ব্লু থান্ডার’
৪ জুন, ডেইলি মেইল : ব্রিটেনের অভিজাত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ‘ব্লু থান্ডার’এর সত্তর জন সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রুডের সরাসরি নির্দেশ পাওয়া মাত্রই এ্যাপাচি গানশিপ হেলিকপ্টার ও সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় যান। কালো হেলিকপ্টারটি ছিল কোনো চিহ্ন ছাড়া। তাদের গুলীতে অন্তত ৩ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার আগে সন্ত্রাসীরা একটি সাদা পিকআপ নিয়ে লন্ডন ব্রিজে লোকজনের ওপর তুলে দেয়। একাধিক স্থানে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে অন্তত ৬ জন হত্যা করে, আহত ৪৮জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিশেষায়িত বাহিনী ‘ব্লু থান্ডার’এর সদস্যদের কাছে ছিল শক্তিশালী ক্যামেরা যা দিয়ে তারা সন্ত্রাসীদের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে তারা গুলী চালায়। সম্ভাব্য ৫ সন্ত্রাসীর ২ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ৮মিনিটের মধ্যে সন্ত্রাসীরা যে তান্ডব চালায় তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ‘ব্লু থান্ডার’ এলিট বাহিনীর ঝটিকা আক্রমণে। একই সঙ্গে আশেপাশের সমস্ত এলাকায় তল্লাশী শুরু হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় লন্ডন ব্রিজ, ব্রিজ রেল স্টেশন। পাশেই বারোয়া মার্কেটের একটি পাবে এক ব্যক্তিকে একাধিকবার ছুরিকাঘাতের সংবাদ পেয়ে দ্রুত পাবটি নিয়ন্ত্রণে নেয় ‘ব্লু থান্ডার’। তল্লাশী শুরু হয় টেমস নদীতেও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লাল ট্রাকস্যুট পরিহিত কালোবর্ণের এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে অন্তত ৩ বার ছুরিকাঘাত করে। আরেক সন্ত্রাসী এক ব্যক্তিকে ৫ বার ছুরিকাঘাত করে। বারোয়া হাইস্ট্রিট থেকে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অসমর্থিত খবরে জানা যায়, সাউথ ওয়ার্ক স্ট্রিটে গুলীর শব্দ শোনা গেছে। অভিযান চলাকালে ব্লু থান্ডারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে যার যার অবস্থানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার অনুরোধ জানায়। অভিযান শেষ হওয়া মাত্রই তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। এসময় সবাইকে মাথার ওপর দুই হাত তুলে সরে যেতে দেখা যায়। তাদের চোখ মুখ ছিল উদ্বেগ ও ভীতিতে ভরা।