ইমাম খোমেইনি (র.)-এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম খোমেইনি (রহ.)-এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘ইমাম খোমেইনি (র.): ঐক্য, শান্তি ও সংলাপের অগ্রদূত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী ও ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) এর ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মেদ সোলায়মান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। আলোচনা রাখেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী।
বক্তাগণ বলেন, ইসলামি উম্মাহর মধ্যে ঐক্যের দাওয়াত ও এর অপরিহার্যতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক যে ব্যাপারে ইমাম খোমেইনি সবসময় তার বক্তব্য ও দিকনির্দেশনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতেন। কারণ, ইমাম খোমেইনি রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামি উম্মাহর মধ্যকার বিভেদের নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে খুব ভালভাবেই অবহিত ছিলেন। ইমাম খোমেইনি জানতেন, ইসলামি উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ইসলামের শত্রু ও বিজাতীয়রা মুসলমানদের অপদস্থ করবে এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। তাই তিনি সকল প্রকার বিভেদ ভুলে ইসলাম ধর্মের উপর ভিত্তি করে ঐক্য ও সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠা করাই এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় বলে মনে করতেন।
বক্তাগণ আরো বলেন, ইমাম খোমেইনির রাজনৈতিক জীবন থেকে এটাই দেখা যায় যে, ইমাম সবসময় মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের দূত হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি কেবল ইসলামের বিভিন্ন মাযহাবের মধ্যে শান্তি ও সংলাপের পক্ষেই ছিলেন না, বরং অন্যান্য ধর্ম, জাতি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি ও সংলাপের পক্ষে ছিলেন। ইমাম খোমেইনি তার জীবদ্দশায় বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা বিশেষ করে ক্যাথেলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা গর্বাচেভের মতো বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি