শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কিশোরগঞ্জে একটি পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীর বিষ্টার গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ

নীলফামারী ও কিশোরগজ্ঞ সংবাদদাতা : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কাজী ফার্ম লিমিটেডের একটি পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীর বিষ্টা খোলা জায়গায় ফেরার কারণে ওই এলাকার মানুষ দূর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সিঙ্গেরগাড়ী বালাপাড়ায় প্রায় দেড় বছর যাবত কাজী ফার্ম  লিমিটেড একটি পোল্টি ফার্ম দিয়ে মুরগীর ডিম উৎপাদন করে আসছে। আর সেই ফার্ম থেকে প্রতিদিন যে পরিমান মুরগির বিষ্টা বের হয় তা কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি স্থানে রাখা হত। এদিকে কোম্পানির মুরগীর বিষ্টা রাখার নিদ্দিষ্ট স্থানটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে  রাতের আধারে  বালাপাড়াস্থ একটি খোলা জায়গায় বিষ্টা ফেলানো হচ্ছে। ফলে বিষ্টার গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।  আর এতে করে ওই এলাকার মানুষজন মুরগীর বিষ্টার গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। একদিকে মুরগীর পায়খানার দুগন্ধে মশা ও মাছির বেড়েছে উপদ্রব। যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকায় মশা মাছির বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। ফলে ওই এলাকার মানুষজনকে নাক ও মুখে কাপড় দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ছামিদা বেগম বলেন, যেদিন রোদের তাপ বেশী থাকে সেদিন মুরগীর পায়খানার গন্ধে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। বালাপাড়া এলাকার মজিদুল ইসলাম জানান,মুরগীর পায়খানার দূর্গন্ধে খাবার খাওয়া যায় না। খাবার দেয়ার পূর্বে মুরগীর পায়খানার গন্ধ নাকে মুখে প্রবেশ করে। ফলে খাওয়ার আর রুচি থাকে না। মুরগীর বিষ্টার গন্ধে খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও দক্ষিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ব্যহত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ কাজী ফার্ম স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে ও ক জমির মালিককে টাকা দিয়ে খোলা জায়গায় মুরগীর বিষ্টা ফেলাচ্ছে। এতে করে আশপাশের পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি মানুষজন বিভিন্ন বোগে আক্রান্ত হচ্ছে।  কাজী ফার্মস লিমিটেডের  কম্পোষ্ট শাখার ইনচার্জ মঞ্জুর আলম বলেন, প্রতিদিন যে পরিমান মুরগীর বিষ্টা বের হচ্ছে তা দিয়ে কোম্পানির নিজস্ব মেশিন দিয়ে কম্পোষ্ট সার তৈরী করা হয়। গন্ধ নিরসনের জন্য প্রতি সপ্তাহে কোম্পানির লোক দিয়ে স্প্রে করা হয় এবং মাছির উৎপাত কমাতে প্রতিটি বাড়ীতে মাছি মাড়ার ওষুধ দেয়া হয় বলে তিনি জানান।  কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মেহেদী হাসান জানান, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ