শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রামপাল নিয়ে আপত্তি প্রত্যাহার ইউনেস্কোর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সংগ্রাম ডেস্ক : সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আপত্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা উইনেস্কো। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের কারাকাওয়ে ইউনেস্কোর ৪১তম সেশনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে গেল বছর জাতিসংঘের এ সংস্থাটি জানিয়েছিল রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন থমকে যাবে। সাথে থমকে যাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

 পোল্যান্ডের চলা ইউনেস্কোর এ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্ট ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ প্রকল্পটির বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন বামপন্থি দল ছাড়াও পরিবেশ বাদী সংগঠন।

ইউনেস্কোর বৈজ্ঞানিক অবস্থান লবি-এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে : আনু মোহাম্মদ

সুন্দরবন ধ্বংসে নিজের উন্মাদনা বাস্তবায়ন করতে, সরকারের পক্ষ থেকে দেশের মানুষের টাকা খরচ করে, ইউনেস্কোতে বহু লবিং হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবারে তারা সফল। বলেছে ইউনেস্কো রামপাল প্রকল্প সম্পর্কে আপত্তি প্রত্যাহার করেছে। আমাদের সময়.কম।

এর আগে ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক অনুসন্ধান এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ থেকেই তাদের সিদ্ধান্ত ছিলো এই প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নেবার কোনো বিকল্প নেই। তাদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছিলো কীভাবে এই প্রকল্প সুন্দরবন বিনাশ করবে। একইরকম ব্যাখ্যা, হাতেগোণা কতিপয় ভাড়াখাটা ব্যক্তি ছাড়া, দেশ বিদেশের সকল বিশেষজ্ঞই দিয়েছেন। গতকাল যদি ইউনেস্কো তার এই অবস্থান থেকে সরে আসে তাহলে তার অর্থ হবে একটাই- ইউনেস্কোর বৈজ্ঞানিক অবস্থান গোষ্ঠী স্বার্থের লবিংএর কাছে কোনো না কোনো কারণে আত্মসমর্পণ করেছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বের একটি বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে ইউনেস্কো তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এটা ঠিক যে, সুন্দরবন বিনাশ হলে এইদেশ ও এইদেশের মানুষের সর্বনাশ, ইউনেস্কোর কর্মকর্তাদের তাতে কী আসে যায়? তাই এই প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তারা সন্দেহজনক কারণে আপত্তি প্রত্যাহার করতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ পারে না।

নদীনালা পাহাড় বিনাশেও পুরো তৃপ্তি হয় না, দেশের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ প্রধান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুন্দরবন না খাওয়া পর্যন্ত কোনো শান্তি নেই সরকারের। ভূতের পা থাকে উল্টো দিকে। সেজন্য সে যতো জোরে হাঁটে ততোই পেছন দিকে যায়।তারপরও তার খুশিতে আটখানা ভাব দেখা যায়।

কিন্তু মানুষকে তো সামনের দিকেই হাঁটতে হবে। মানুষের বাঁচার পথ মানুষের মধ্যেই। আগামী ১১ জুলাই তাই সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প বাতিলের দাবিতে এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে মহাদুর্নীতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী সমাবেশ।

 লেখাটি জাতীয় তেল গ্যাস ও বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এর ফেসবুক থেকে নেয়া।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ