কাঠালিয়ায় ডাকাত আতংকে নির্ঘুম রাত
ঝালকাঠি সংবাদদাতা: ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় গভীর রাতে ডাকাত আতংকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে উপজেলাবাসী। গত শুক্রবার দিবাগতরাত একটার দিকে বিষখালী নদী থেকে ৪/৫টি ট্রলারে করে শতাধিক ডাকাত দল এলাকায় ঢুকলে মূহুর্তের মধ্যে এমন সংবাদ মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার হলে স্থানীয় মসজিদ গুলোতে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়। এ বার্তা শুনে অধিকাংশ পুরুষরা ঘর থেকে নেমে পড়ে অলি-গলি-রাস্তায়। এলাকাবাসী খন্ডখন্ড ও দলবদ্ধ হয়ে ‘ডাকাত ডাকাত’ স্লোগানে কম্পিত হয়ে ওঠে শৌলজালিয়া, সোনার বাংলা, আওরাবুনিয়া, জাঙ্গালিয়া, কচুয়া, কাঠালিয়া, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, হেতালবুনিয়া ও আমুয়াসহ কাঠালিয়া গোটা উপজেলাবাসী। পার্শ্ববতী বরগুনা জেলার বামনা ও বেতাগী উপজেলায়ও একই ভাবে মাইকিং করা হয়। যে কারণে ডাকাত পাহারা ও আতংকে দীর্ঘ রাতটি অতিবাহিত করতে হয়েছে বিষখালী নদী তীরবর্তীসহ অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দাদের। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বেশি তৎপর ছিল। তারা ডাকাত প্রতিরোধে লোকজনকে ঐক্যবদ্ধ করে। এদিকে স্বল্প সময়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে হৈ চৈ শুরু করে। এ ব্যাপারে কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনজার্চ এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, পার্শ্ববর্তী বরগুনা বেতাগী উপজেলার কালকা বাড়ি এলাকায় সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল হানা দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর সহায়তায় বেতাগী থানা পুলিশ এ ডাকাত দলের চিহ্নিত দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, গত ২১ জুন রাতে উপজেলার বীনাপানি-কচুয়া সড়কের কাঠালিয়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ দুই ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাসী। এর কয়েকদিন পূর্বে একই এলাকায় সাবেক এক ইউপি মেম্বরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।