সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প উন্নয়নে এডিবি থেকে ৪ হাজার ২৫০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি তথা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার এশীয় উন্নয়ণ ব্যাংক বা এডিবি থেকে ৫২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ঋণ নিচেছ। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে এডিবি এই ঋণের অর্থ অনুমোদন করেছে। তিনদিন আগে ম্যানিলা-ভিত্তিক সংস্থাটির বোর্ডসভায় এই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়।
এদিকে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) ভিত্তিতে চলমান অবকাঠামো প্রকল্প ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় হবে। এই অর্থের মধ্যে পিপিপির আওতায় মধ্যম ও বড় ধরনের প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার ব্যয় হবে।
আর দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার ব্যয় হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহায়তায়। দেশের গ্রামাঞ্চলে এসব জ্বালানি প্লান্ট হবে। এছাড়া সাত লাখ ৫০ হাজার ডলার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় করা হবে।
এডিবির প্রধান আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ পিটার মারো জানেিয়ছেন বাংলাদেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধিতে বেসরকারিভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। এই উন্নয়নকে এখন টেকসই করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কেননা অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাংখিত প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। যেগুলো বেসরকারি খাত দ্বারা পূরণ করতে পারে।
এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিবৃতিতে এডিপি বলছে, বাংলাদেশ ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে স্থিতিশীল গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা জুলাই ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের অবস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির ৭ শতাংশ থেকে গড় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হারে পৌঁছাতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের স্তরের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য পাঁচ বছরের পরিকল্পনা এই লক্ষ্যগুলোকে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিনিয়োগে ২০১২ সালের ২৯ শতাংশ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে। এ জন্য শুধু অবকাঠামোতে বছরে জিডিপি ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। যা অর্থের আকারে ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার।