বিএনপির সাথে আলোচনার প্রশ্নই আসে না -নাসিম
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি লন্ডন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তারা জাতীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে নির্বাচনকে ভন্ডুল করার পাঁয়তারা করছে।
গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এর আগে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ সহিদুল ইসলাম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘চক্রান্ত ছাড়া তারা (বিএনপি) জীবনে কিছু করেনি। এবারও তারা এর বাইরে যায়নি। ২০০১ সালের মত তারা আবার জাতীয় আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। উন্নয়নের কর্মকান্ড ব্যাহত করতে তারা আবার মাঠে নেমেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। এবারও তারা চক্রান্ত শুরু করেছে। আমরা আশঙ্কা করছি ২০০১ সালের মত আবারও জাতীয় আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। এ চক্রান্ত আমরা হতে দেব না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে গিয়ে ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ব্যর্থ হয়েছে। এবারও তারা লন্ডন চক্রান্ত শুরু করেছে। তাদের কথায় বুঝা যাচ্ছে একটি নীলনকশা সামনে রেখে নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য তারা তৎপর হয়েছে। বিএনপি সহায়ক সরকার এবং বিভিন্ন ভিশন দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ভন্ডুল করতে চায়।
নাসিম বলেন, আমরা আশা করি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। জনগণ যে রায় দিবে সেটা আমরা মেনে নেবো। নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে তার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষভাবে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে।
তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, ২০০১ সালের মতো আবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে সাহাবউদ্দিন-লতিফুর মার্কা নির্বাচন করার জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও লক্ষ্য করা যাচ্ছে, লন্ডন চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। বিএনপির বিভিন্ন কথাবার্তায় বোঝা যায়, নীলনকশা সামনে রেখে নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য তারা তৎপরতা শুরু করেছে।
নাসিম বলেন, কোনো জায়গায়, কোনো অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না। কী কারণে বলব, বলেন? যারা হত্যায় রাজনৈতিক প্রশ্রয় দিয়েছে, ২০১৪ সালে মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আলোচনা হবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশন ডেকেছে তাদের, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন পরিচালনা করবে, তাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে আলোচনা হবে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা কেন হবে?’
নির্বাচন বর্জনের অধিকার সবার আছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন বর্জন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে ডেকেছে। সেখানে তারা কথা বলবে। তাদের বক্তব্য থাকলে সেখানে বলতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
লন্ডনের হাউস অব লর্ডসের সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কারলাইল আয়োজিত একটি আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের যোগ না দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘যারা গিয়েছিলেন, তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন আলোচনা করেননি?’