শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শাহরাস্তির স্কুলছাত্রী মিনু আত্মহনন মামলার নেপথ্য নায়করা বহাল তবিয়তে

শাহরাস্তি (চাঁদপুর) সংবাদদাতা: বিদ্যালয়ে ও শ্রেণিকক্ষে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহননককারী চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ফরিদউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্রী শারমিন আক্তার মিনুর আত্মহত্যার প্ররোচনাকারিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। ঘটনার ২ বছর অতিবাহিত হলেও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আইনি চোখ ফাঁকি দিয়ে বহালতবিয়তে রয়েছে মামলার মূল আসামী মমিন হোসেন তারেকসহ অন্যরা। পুলিশের পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগ গঠনের কারনে দফায় দফায় তদন্ত কার্যক্রম পরিবর্তন ও আসামী পক্ষের হুমকী ধমকির ফলে বোন হারানোর বিচার চেয়ে ভীতসন্ত্রস্ত জীবন কাটাতে হচ্ছে এমন অভিযোগ বাদীর।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট শাহরাস্তি উপজেলার আয়নাতলী ফরিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার মিনু শ্রেণীকক্ষে ও বিরতির সময় ক্যাম্পাসে সহপাঠীর দ্বারা উত্ত্যক্তের শিকার ও উত্ত্যক্তকারীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নাজেহাল হয়ে ক্ষোভে আত্মহত্যা করে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।
উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের পন্ডিত বাড়ির প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে শারমিন আক্তার মিনু। তাকে প্রায়ই প্রেম নিবেদন ও উত্যক্ত করতো সহপাঠী সংহাই গ্রামের প্রবাসী আবু তাহেরের ছেলে তারেক। তারেক কোনোভাবে মিনুকে পটাতে না পেরে মা রূপবান বেগম ও বোন কনিকাকে সহযোগিতা করতে বলে। এ ব্যপারে ঘটনার ৩ দিন আগে ১৭ আগস্ট ১৫ সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব মো. ইসমাইল হোসেন সাহেবের নিকট শারমিনের ছোট ভাই নয়ন মৌখিক ভাবে একটি অভিযোগ দেয়। ২০ আগস্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে ইংরেজি ক্লাস চলাকালে রূপবান বেগম ক্লাসের ভেতর ঢুকে মিনুকে দাঁড় করায়। পরে তার ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরামর্শ দেয়। এ প্রস্তাব মিনু প্রত্যাখ্যান করলে তারা মিনুকে বিভিন্ন প্রকার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে বিরতির সময় রুপবান বেগমের সাথে তার মেয়ে কনিকা এসে আরো অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। এসময় তারেক মিনুকে চড় মারে ও মুখে থুতু দেয়। উপস্থিত অন্যান্য সহপাঠিদের সামনে অপমানিত হয়ে রাগে ক্ষোভে ৪র্থ ঘন্টার পর ছুটি নিয়ে বাড়িতে যায় মিনু।
এরপর তাদের বসতঘরের নিচ তলায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ