বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত ও বিশ্ব শান্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মভূমি পবিত্র মক্কা নগরীর কাবা শরীফে অযুতকন্ঠে লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাববাইক ধ্বনিত হওয়ার মাস পবিত্র জিলহজ্ব। এ মাসের পঞ্চম দিবস আজ। দিন যতই যাচ্ছে হজ্ব পালনেচ্ছুদের মধ্যে মহান প্রভুর দিদার ও নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর শাফায়াত লাভের বাসনা মনের গভীরে ততই তীব্র হচ্ছে।

বিশ্ব মুসলিমের প্রাণকেন্দ্র বায়তুল্লাহ শরীফে যিয়ারতের জন্য তথা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে তামাম দুনিয়া থেকে ছুটে যাওয়া মুসলমানরা এখন সমবেত। বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্য সেখানে দৃশ্যমান। সেখানে বিশ্বের ধনী গরিব, আমির ফকির শেতাঙ্গ কৃষ্ণাঙ্গ সব একাকার। কোণ ধরনের ভেদাভেদ বা পার্থক্য সেখানে নেই। সবার পড়নে একই ধরনে পরিচ্ছদ। একই নাম উচ্চারিত হয়। সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। মহান প্রভুর পরম করুণাময় রহমত সান্নিধ্য লাভ।

এই মহিমান্বিত হজ্বের তিনটি কাজ ফরজ। এগুলো হচ্ছে ইহরাম বাধা, উকুফে আরাফা বা আরাফার ময়দানে অবস্থান করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত বা বায়তুল্লাহ শরিফ যিয়ারত করা। এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি কাজ হজ্ব পালনকারীদের আমল করতে হয়। সেগুলো হলো মুযদালিফায় অবস্থান করা, সাফা মারওয়া পাহাড় দুটির মধ্যে দৌড়ানো বা সায়ী করা। মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছাটা। নির্দ্দিষ্ট স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ এবং জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখের পর দুই বা তিনদিন মিনায় অবস্থান করা। 

ইহরাম অর্থ নিজের জন্য কোন কোন জিনিস ব্যবহার হারাম করা। মীকাত বা মীকাতের আগে তালবিয়া পাঠ করে হজ্বের নিয়ত করা এবং নির্ধারিত পোশাক পরিধানের মাধ্যমে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় কার্যাদি সম্পন্নের নাম ইহরাম। এর মাধ্যমে হজ্ব পালনকারী নিজের ওপর সাময়িকভাবে নিজের উপর সাময়িকভাবে কতিপয় কাজ হারাম করে নেয়া। যেমন, স্ত্রী সহবাস, চুল, নখ কাটা, সুগন্ধী ব্যবহার করা, সেলাই কাপড় পরিধান করা, অশ্লীল কথা বলা, শিরক করা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, যে স্থান থেকে ইহরাম বাধতে হয় সে স্থানকে মীকাত বলে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ